পাশাপাশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর-মজিলপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নামও এই বীর শহিদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রোঞ্জের একটি আবক্ষমূর্তি মজিলপুর দত্ত বাজারে স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ঃ আত্মরক্ষার পাঠ থেকে আন্তর্জাতিক পদক জয় জেলার ছেলে-মেয়েদের
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, রাইটার্স বিল্ডিং-এর অলিন্দ যুদ্ধের অন্যতম নায়ক বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তের ফাঁসীর আদেশ যিনি দিয়েছিলেন, সেই বিচারক গার্লিককে ১৯৩১ সালের ২৭ই জুলাই আলিপুর কোর্টের মধ্যে কর্মরত অবস্থায় হত্যা করে শাস্তি দিয়েছিলেন বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য।
advertisement
হত্যার পর তিনি পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে কোর্টের মধ্যেই আত্মহত্যা করেন। তাঁর পকেটে পেডি হত্যার নায়ক মেদিনীপুরের বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তের নামাঙ্কিত চিরকুট রাখা ছিল। এই চিরকুট লিখে তিনি পুলিশের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তকে প্রাণ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন ঃ নিরাপত্তা জোরদার করতে ভাঙড়ে সিসিটিভি লাগালো কলকাতা পুলিশ
অর্থাৎ একজন শহীদ মৃত্যু বরণ করছেন, কিন্তু তার কোন প্রচার না চেয়ে অন্য এক বিপ্লবীকে বাঁচাতে চাইছেন। আত্মত্যাগের এ এক অপূর্ব নিদর্শন। স্বাধীনতা সংগ্রামে আপসহীন ধারার বহু বিপ্লবীর এমন আত্মবলীদানের ইতিহাস আছে যা আমাদের প্রেরণা যোগায়। তেমন একজন বিপ্লবী ছিলেন কানাইলাল ভট্টাচার্য।
তাঁকে মনে রেখেই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন অর্থাৎ ১৫ই আগস্ট, জয়নগর মজিলপুর দওবাজারে বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মূর্তির পাদদেশে মাল্যদান করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন এলাকার বহু মানুষ। বিপ্লবীর জীবনের ইতিহাস তুলে ধরা হয় এদিনের অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে।
সুমন সাহা