আরও পড়ুন: পাথুরে গ্রামের জল সঙ্কট মেটাতে অভিনব পদক্ষেপ! পাঁচ বছরের মার্কশিট কেমন পুরুলিয়ার এই গ্রামের
প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, ইটভাটায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময় কোনভাবে চুল্লিতে পোড়ানোর জন্য রাখা জ্বলন্ত ইটের পাঁজা শ্রমিকদের গায়ের উপর এসে পড়ে। সেই ইটের তলাতেই চাপা পড়ে যান শীলা হালদার ও মনোরঞ্জন মণ্ডল। জানা গিয়েছে, এই দু’জন চুল্লিতে মাটির ইট পোড়ানোর কাজ করছিলেন। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ছুটে এসে জ্বলন্ত ইট সরিয়ে এই দুই শ্রমিককে উদ্ধার করেন।
advertisement
এরপর স্থানীয়দের তৎপরতাতেই শীলা হালদার ও মনোরঞ্জন মণ্ডলকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শীলা হালদারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে গুরুতর আহত মনোরঞ্জন হালদারকে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বলন্ত ইট গায়ে এসে পড়ার ফলে ওই দুই শ্রমিকেরই দেহের প্রায় ৫০% পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়দিঘি থানার পুলিশ। এই ঘটনার পরই ইট ভাটাটির বৈধ কাগজপত্র ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনা হল সুন্দরবন এলাকায় এমন বহু ইটভাটা আছে যাদের কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শ্রমিকদের নিরাপত্তাকে তুচ্ছ করে সেগুলো চলছে।
নবাব মল্লিক