কাকদ্বীপের এই এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ঘিয়াবতি নদীর শাখা নদী। কিন্তু ক্রমশ পলি পড়ে পড়ে সেটি প্রায় মজে গিয়েছে, প্রবাহ ক্ষীয়মান। বাম আমলে এই নদীটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বর্তমানে নদীর প্রবাহ বলতে গেলে পুরোটাই মজে গিয়েছে। সেই মজে যাওয়া নদীতে সেচ দফতরের অনুমতি ছাড়াই গায়ের জোরে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি শুরু হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় বুধাখালি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
advertisement
আরও পড়ুন: এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে মোমবাতি হাতে শপথবাক্য পাঠ করালেন পুরপ্রধান
স্থানীয়দের দাবি, সেচ দফতরের অনুমতি না নিয়ে পঞ্চায়েত ওই নদীর উপর মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু করে। এই প্রসঙ্গে সাফাইয়ের সুরে পঞ্চায়েত প্রধান বাণেশ্বর দাস বলেন, এই মজে যাওয়া প্রবাহে আবর্জনা ফেলত স্থানীয়রা। তা বন্ধ করতেই সাধারণ সভা ডেকে এই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেচ দফতর সেই কাজে অনুমতি দিয়েছে বলেও দাবি করেন পঞ্চায়েত প্রধান।
এদিকে সেচ দফতরের কাকদ্বীপ ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জনিয়ার সুরজিৎ দাস জানিয়ে দেন, তাঁদের অনুমতি না নিয়েই ওই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাওয়ার পর সেচ দফতর নদীর উপর মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
নবাব মল্লিক