ফের আরও একটি কুটির শিল্প বন্ধের আতঙ্কে প্রহর গুনছে বেশ কয়েকটি পরিবার । বহু যুগ ধরে বংশপরম্পরায় পাখির খাঁচা তৈরি করে নিজেদের সংসার চালিয়ে এসেছেন তাঁরা। বিভিন্ন গৃহস্থের বাড়িতে পাখি পোষার রেওয়াজ বহুদিনের। প্রায় প্রতি বাড়িতেই দেখা যেত খাঁচায় বদ্রি, টিয়া ,লাভ, বার্ড , ফিঞ্চ , শালিক সহ নানা ধরনের পাখি। আর এই পাখি পুষতে গেলে বাঁশের খাঁচার প্রয়োজন। আর এই বাঁশের খাচা বানিয়ে তা বাজারে বিক্রি করে তাদের বহুকাল ধরে নিজেদের পেট চালাচ্ছিল জয়নগর থানা এলাকার দক্ষিণ বারাসাতের বৃত্তিপাড়া গ্রামের কয়েকটি পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোপালের মঞ্চে ছৌ নৃত্য পরিবেশন! তাক লাগালেন জঙ্গলমহলের দুই কন্যা
একদিকে সরকারি নির্দেশ আছে যে গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্য কোন পশু পাখি আর খাঁচা বন্দি করে রাখা যাবে না। অন্যদিকে কর্মব্যস্তার যুগে পোষ্য সামলানোর ঝক্কি এখন আর কেউ নিতে চায় না তাই সেভাবে আর গৃহস্থের বাড়িতে পাখি পুষতে দেখা যায় না। আর যার জেরে চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছে বাঁশের তৈরি খাঁচা কারিগরেরা।
এ প্রসঙ্গে এক খাঁচা কারিগর জানান, “একদিকে যেমন সরকারি নির্দেশে পাখিকে গৃহবন্দী করে রাখা যাবে না।অন্যদিকে আর পাখি পোষার চল প্রায় হারিয়েই গিয়েছে তাই বাঁশের তৈরি খাঁচার দিকে সেভাবে আর মানুষ ঘুরেও তাকাচ্ছে না বর্তমানে সেই জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খাঁচা বাজার দখল করায় এবং মূল্যবৃদ্ধির ফলে লাভের অংক অনেক কমে যাওয়ায় নতুন প্রজন্ম এই কাজে উৎসাহ হারাচ্ছে। তাই এই গ্রামীন কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখাটাই এখন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।”
সুমন সাহা