সুন্দরবনের মানুষের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের যুগান্তকারী এই রায় সাড়া ফেলে দিয়েছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে। তাঁদের দাবি, এতদিন বনদফতরের তরফে বলা হত, যদি কোনও ব্যক্তি কোর এরিয়ায় ঢুকে বাঘে আক্রান্ত হন, তাহলে ক্ষতিপূরণ তো পাবেই না, উল্টে আইন ভাঙার জন্য মামলাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘাড়ের কুৎসিত কালো দাগ দূর করুন পুজোর আগেই, ঠিক এই ভাবে! এক রাতেই হবে ম্যাজিক!
advertisement
তবে সূত্রের খবর, এবার হাইকোর্টের রায় বলা হয়েছে, কোর বা বাফার যেখানেই কোনও ব্যক্তি বাঘের দ্বারা আক্রান্ত হবেন, সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারের সার্কুলারেও কোথাও কোর বা বাফার ভাগ করা নেই বলেই সূত্রের খবর। এই নির্দেশের ফলে সুন্দরবনের বহু পরিবার, যাঁদের পরিজন বাঘের আক্রমণে মার গিয়েছেন, তাঁরা উপকৃত হবেন। বাঘ আক্রমণে বিধবা অসংখ্য মহিলা ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ টাকা পেলে তাঁদের জীবন অনেকটাই সহজ হবে বলে দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন: ৭০-৮০ টাকায় দেদার খাচ্ছেন, জানেন কি বিরিয়ানিতে মেশানো হচ্ছে কাঠ পালিশের রঙ!
এপিডিআর নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন গত সাত বছর ধরে, বাঘে আক্রান্ত পরিবারের অধিকার রক্ষার জন্য, লাগাতার আন্দোলন করে চলেছে। তারই অংশ হিসাবে, এপিডিআর-এর দক্ষিণ পরগণা জেলা কমিটি এর আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত ও শ্রীময়ী মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে মামলাটি করেছিলেন। পরিবারগুলোকে সংগঠিত করে এপিডিআর-এর তরফে মিঠুন মণ্ডল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এক্ষেত্রে। কিন্তু, এখনও হয়ত অনেকদূর যেতে হবে বলে মনে করছেন এপিডিআর-এর সদস্যেরা। বাঘে আক্রান্ত সবার জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় করা বড় কাজ। এমনটাই জানিয়েছেন মামলাকারীরা।
নবাব মল্লিক