গঙ্গাসাগর জনসমুদ্রে ভেসে যাচ্ছে । পুণ্য লাভের আশায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছে সাগর পাড়ে। শুরু মকর সংক্রান্তির স্নান। ইতিমধ্যেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগর সমুদ্র সৈকত। রবিবার মেলা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,কৃষি- মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়, পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সভাধিপতি শামীমা শেখ, উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা।
advertisement
আরও পড়ুন - Joshimath Case: যোশীমঠের পর এবার কর্ণপ্রয়াগে বাড়িতে ফাটল, ছবি দেখলে ভয় লাগবে!
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান,এবারের গঙ্গাসাগর মেলার নতুন আকর্ষণ 'বাংলার মন্দির' বাংলার বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র যেমন কালীঘাট ,দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, তারকেশ্বর, জহুরা কালী মন্দিরের অবিকল প্রতিরূপ এবার দেখা যাচ্ছে মেলা প্রাঙ্গনে। মেলার পবিত্র পরিবেশে পুণ্যার্থীরা পাবেন এই সকল তীর্থ দর্শনের সুযোগ। সাগর আরতি সাগরের পুণ্যতটে এবার তিন দিন ব্যাপী মহা সাগর আরতির আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি অবহেলা করবেন না! আজ থেকেই খাবারে বদল আনুন, জেনে নিন
১২ জানুয়ারি সাগর সঙ্গমে ডাকের ধ্বনি শব্দের এবং পুরোহিতদের পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে এই মহা সাগর আরতির শুভ সূচনা হয়েছে। এই অপরূপ দৃশ্য ওয়ার টেলিকাস্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে দেশে-বিদেশে। পুণ্যার্থীরা গত ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মহা সাগর আরতি দর্শনের সুযোগ লাভ করেছেন যা আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুণ্যার্থীরা প্রত্যক্ষ করেছেন। ইতিমধ্যে ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ গঙ্গাসাগর মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। ই স্নান করেছে ১,৮৩৪ জন পুণ্যার্থী। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশ বান্ধব গঙ্গাসাগর মেলা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। পুণ্যার্থীদের ভিড় সামাল দিতে প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।
এবারের গঙ্গাসাগর মেলাতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেকর্ড সংখ্যক তীর্থযাত্রীর আগমন ঘটতে পারে মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০,০০০ বর্গ মিটার জমি সাগরের জল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুনরুদ্ধার করা হয় এবং তীর্থযাত্রীদের স্নানে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য ১ নং রাস্তার বা দিকে বিচ নং ১এ এবং ৫ নং বিচের ডান দিকে বিচ নং ৬ নামে স্নানের জায়গা প্রসারিত করা হয়। এই ২টি বিচ সংযোগকারী নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয় এবং সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে শৌচালয়, আলোর ব্যবস্থা, পুলিশ ক্যাম্প, ওয়াচ টাওয়ার প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়। এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে এই বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীর পুণ্যস্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।বিভিন্ন ভাষাভাষীর তীর্থযাত্রীদের জন্য তথ্য সরবরাহ ও সচেতনতার উদ্দেশ্যে সাগর মেলায় ৬ টি টাওয়ার থেকে ৭ টি ভাষায় (বাংলা, হিন্দী, ওড়িয়া, মারাঠী, তামিল, তেলেগু ও ভোজপুরী) প্রতিনিয়ত ঘোষণা করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ৪৮ জন তীর্থযাত্রী সাগরদ্বীপের বিভিন্ন হাসপাতালে অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছেন।
Suman Saha