রাতেই খবর দেওয়া হয় বন দফতর আধিকারিকদের ও পুলিশ আধিকারিকদের। সকাল হতেই এলাকায় এসে পৌঁছায় বনদফতরের আধিকারিকেরা ও পুলিশ। আতঙ্কের রাত কেটে যাওয়ার পর সকাল হতে গ্রামবাসীরা দেখতে পায় কাদার উপর অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ। পায়ের ছাপ দেখেও খানিকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে যুদ্ধবিমান! উপচে পড়ছে আমজনতার ভিড়
advertisement
গ্রামবাসীদের প্রাথমিক অনুমান এই পায়ের ছাপ বাঘের। কিন্তু বনদফতরের আধিকারিকেরা এসে আশ্বস্ত করেন এই পায়ের ছাপ বাঘের নয়। বনদপ্তরের আধিকারিকেরা বেশ কিছুক্ষণ এই পায়ের ছাপ পর্যবেক্ষণ করে জানান এই পায়ের ছাপটি রাজ্যপ্রাণী বাঘরোল কিংবা বন বিড়ালের। বনদফতরের আধিকারিকদের এই কথায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত দেহ, পাশেই পড়ে রক্তমাখা হাতুড়ি! ভয়ঙ্কর কাণ্ড নরেন্দ্রপুরে
এক প্রত্যক্ষদর্শী আলপনা গিরি বলেন, “শনিবার রাতে জঙ্গল থেকে বিকট গর্জন শুনতে পাই আমরা। গর্জন শুনে গিয়ে দেখি, অন্ধকারের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে দুটো চোখ গায়ের ডোরাকাটা দাগ। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সকলে, হাতে লাঠি নিয়ে গ্রাম পাহারা দেয় রাত ভোর।
বাঘের মতই অবলুপ্তির পথে এই রাজ্যপ্রণী। বাঘরোল গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলেই থাকে হাঁস মুরগি জাতীয় ছোট প্রাণী শিকার করে। তবে সুন্দরবনে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষজন সবর্দাই রয়েল বেঙ্গ টাইগারের আগমনের আতঙ্কে থাকে। তাই বনদফতরের এই কথা শোনার পর স্বস্তি পেয়েছেন সকলে।
সুমন সাহা