তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সকলের উপস্থিতিতে ভুয়ো জব কার্ডের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য।অভিযোগকারীরা জানান, কুলপি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নং বুথে ১০০ দিনের প্রকল্পে বেশ কয়েকটি স্কিমের সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে সরকারি অর্থ তছরুপ করেছে সিপিআইএম সমর্থিত নির্দল থেকে জেতা অধুনা তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য বাপি হালদার। এমনকি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাপি হালদার নিজের ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ে ছাড়া স্ত্রী ও বিধবা ভাতা পাওয়া বৃদ্ধা মায়ের নামে জব কার্ড করিয়ে ১০০ দিনের কাজে তাদের নাম ঢুকিয়ে মাস্টার রোলে নথিভুক্ত করিয়েছেন। শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে হাজার হাজার টাকা সরকারি অর্থ তছরুপ করেছেন।
advertisement
এই অবৈধ কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুরভী পুরকাইত ও গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকারীকরদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে গ্রামবাসীরা ব্লক প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনকে লিখিত জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রমাণস্বরূপ অভিযোগ পত্রের সঙ্গে কয়েকটি স্কিমের নাম, মাস্টার রোলের কপি তারা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিয়ে প্রবল সমস্যা! ফের শুরু হয়েছে খুচরো পয়সা বিভ্রাট!
ভুয়ো জব কার্ডের বিষয়ে জয়েন্ট বিডিওর সামনে সত্যতা স্বীকার করে নেন সদস্য বাপি হালদার বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুরভী পুরকাইতকে ফোন করা হলে ওনার স্বামী দূর্গাচরণ পুরকাইত ফোন তুলে বলেন, এই কাজের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক কাগজপত্র প্রস্তুত করে তাদের কাছে পাঠায় সই করার জন্য। সেখানেই তারা সই করে দিয়েছেন।এ নিয়ে কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্তা জানান, তদন্ত হয়েছে এখনও রিপোর্ট আসেনি। এলে বিষয়টি দেখব। তবে পুরো বেনিয়ম হয়নি। কিছু কাজ হয়েছে। যদি কিছু কাজ বাকি থাকে তা করিয়ে দেওয়া হবে। জব কার্ডের বিষয়টি এখনও আমার নজরে আসেনি।
নবাব মল্লিক