বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, “বারুইপুর থানা ভেঙে নতুন থানা নির্মাণের প্রস্তাব অনেক মাস আগেই পাঠানো হয়েছে। এরপরে বাসন্তী ও জীবনতলা থানা ভেঙে নতুন থানা নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব থানার জন্য জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, বাসন্তী থানা ভেঙে চড়াবিদ্যা থানা নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৬ টি পঞ্চায়েত চড়াবিদ্যা, চুনাখালি, আমঝাড়া, কাঁঠালবেড়িয়া, ফুলমালঞ্চ, আঠারো বাঁকি নিয়ে এই নতুন থানা নির্মাণ হবে। এই ৬টি পঞ্চায়েত নতুন থানার সঙ্গে যুক্ত হলে বাসন্তী থানার অধীনে থাকবে উত্তর মোকামবেড়িয়া, রামচন্দ্রখালি, বাসন্তী, ভরতগড়, জ্যোতিষপুর ও মসজিদবাটি এলাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের টন টন কাঠ যাচ্ছে কোথাও, দেখুন ভিডিও
বাসন্তী থানা থেকে চড়াবিদ্যার শেষ সীমানার দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। কোনও বড় ঘটনা ঘটে গেলে পুলিশের এলাকায় যেতেই হিমশিম খেতে হয়। একই ভাবে বাসন্তী থানা থেকে চুনাখালির দূরত্ব ২৮ কিলোমিটার, আঠারোবাঁকি ৩০ কিলোমিটার, আমঝাড়া যেতেও ২৩ কিলোমিটার। কাঁঠালবেড়িয়া ১৭ কিলোমিটার, ফুলমালঞ্চ ১১ কিলোমিটার সময় লাগে। এদিকে, বাসন্তী থানা ভাঙার পাশাপাশি জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারী শরিফের তিনটি পঞ্চায়েত ধরে নতুন থানা নির্মাণ করা হবে।
সেই থানার অধীনে থাকবে বাঁশড়া, নারায়নপুর, তাম্বুলদহ ২ পঞ্চায়েত এলাকা। আর জীবনতলা থানার মধ্যে থাকবে দেউলি ১, দেউলি ২, তাম্বুলদহ ১, কালিকাতলা, সারেঙ্গাবাদ ও মঠের দীঘি এলাকা। ঐ পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, ‘‘বাসন্তী থানা এলাকা অতি দুর্ঘটনা প্রবণ। একই সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘর্ষ লেগে ছিল ওই সব এলাকায়। নতুন থানা নির্মাণ হলে নজরদারির কাজ সুবিধা হবে।’’
মাদকপ্রবনতা ও চুরি-ছিনতাই রুখতে জীবনতলা থানা ভাঙার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে, বারুইপুর ব্লকে রয়েছে ১৯ টি পঞ্চায়েত ও একটি পুরসভা । দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্লক বারুইপুর। বারুইপুর থানা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে উত্তরভাগে সেচ দফতরের প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে থানা নির্মাণের জন্য কাগজপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। ক্যানিং ও জয়নগর থানা সীমান্ত লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকায় বড় কিছু ঘটনা ঘটলে পুলিসকে পৌছতেই নাকানিচোবানি খেতে হয়।
সুমন সাহা