এমনিতেই শীতের মরসুমে সামুদ্রিক মাছে ভরে থাকে বাজার। কিন্ত চলতি বছরে সামুদ্রিক মাছের আকাল দেখা দিয়েছে সুন্দরবন জুড়ে। কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জের ঘাটে নতুন করে সামুদ্রিক মাছ উঠছে না।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারের কোদালবস্তির সিসি লাইন খুলে গেল পর্যটকদের জন্য
সমুদ্রে পাড়ি দিয়েও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। এবছর বর্ষায় ইলিশেরও সেভাবে দেখা মেলেনি। শীতে পমফ্রেট, ভোলা, আয়লা, ম্যাকরেল, চিংড়ি-সহ নানান সামুদ্রিক মাছ পাওয়ার কথা জালে। কিন্তু সমুদ্র থেকে কার্যত হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। বারে বারে লোকসানের মুখে পড়ে তিন হাজার ট্রলারের মধ্যে ৭০ শতাংশ ট্রলার ঘাটে নোঙর করে রাখা আছে। সামান্য কিছু ট্রলার মাসের তিথি ধরে রওনা দিচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কাপড়ের ট্রাঙ্ক থেকে বেরল মহিলার পচাগলা দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য
এর ফলে সংকটে সুন্দরবনের হাজার হাজার মৎস্যজীবী থেকে ট্রলার মালিক। একদিকে মাছের আকাল, অন্যদিকে ট্রলারের জ্বালানি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। যার ফলে অসুবিধায় পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। রাজ্যের সামুদ্রিক মাছের সিংহভাগ জোগান দেয় সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। এখানে মাছ না থাকায় রাজ্যের বাজারেও বড়সড় প্রভাব পড়তে চলেছে আগামীতে।
এ নিয়ে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সতীনাথ পাত্র জানান এবছর সামুদ্রিক মাছের খুবই সংকট দেখা দিয়েছে। মাছ একেবারেই পড়ছে না বললেই চলে। যেটুকু মাছ পড়ছে তা দিয়ে বাজারের চাহিদা কতটা মেটানো যাবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই মাছ না পড়ার পিছনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
নবাব মল্লিক