বর্তমান সময়ে নবম(School Reopen in West Bengal) থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস চালু করার ব্যবস্থা করা হলেও, পরবর্তী সময় সমস্ত ক্লাসকেই স্কুলে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মাঝে ফেব্রুয়ারিতে কিছুদিনের জন্য স্কুল খোলা হলেও, করোনা মহামারী বৃদ্ধি পেতেই আবারও বিদ্যালয় গুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্য সরকার।
advertisement
করোনা সংক্রমণ কিছুটা কম থাকায়(School Reopen in West Bengal) তাই আবারো খুললো স্কুল, কলেজ। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পড়ে থাকা পরিত্যক্ত স্কুল গুলিতে ফিরল প্রাণ। কোলাহলে ভরে উঠল স্কুল প্রাঙ্গণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুলে ধরা পড়ল সেই ছবি।
তবে করোনা আবহের মধ্যে স্কুল(School Reopen in West Bengal) খুললেও, কঠোরভাবে মেনে চলতে হচ্ছে শিক্ষা দপ্তরের জারি করা বিধি নিষেধ। অন্যথা হলেই ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িতে। যেমন, প্রিয় বন্ধুকে সামনে পেয়েও তাঁর পাশে বসা নিষেধ।
বেঞ্চে বসা অবস্থায় দুজনের মাঝে রাখতে হচ্ছে অন্তত ছয় ফুটের দূরত্ব। সেক্ষেত্রে ক্লাস রুমের একটি বেঞ্চে দুজন করেই বসার জায়গা জুটছে ছাত্র-ছাত্রীদের। স্কুলে ঢোকার সময় দেখা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা, করা হচ্ছে স্যানিটাইজও।
স্কুলের(School Reopen in West Bengal) ভেতরে প্রবেশের পর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাস্ক (mask) পরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখা হবে বলেও জানানো হয় স্কুল গুলির তরফ থেকে। এমনকি মাস্ক পরতে হবে ক্লাস চলাকালীনও। রাজ্য প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, এদিন ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৭৫% শতাংশে মত।
বারুইপুর(School Reopen in West Bengal)হোলিক্রস হাই স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবক শ্রাবণী ঘোষ এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, 'স্কুল খোলায় বাচ্চারা এতদিনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। বন্দিজীবন থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে ওদের। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেও দেখা হবে। তবে এখনো যেহেতু ওদের ভ্যাকসিন হয়নি তাই চিন্তায়। যতটা হোক বলে দিয়েছি, দূরত্ব বিধি মানতে। বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি না করে নিজের টিফিন খেতে ও কিছু সময় অন্তর হাত স্যানিটাইজ করতে।'
তবে স্কুল(School Reopen in West Bengal) এর ভেতর ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলছে কিনা তা দেখার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিশেষ নজর রাখার আবেদনও জানানো হয় অভিভাবকদের তরফ থেকে। দীর্ঘ সময় পর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পেয়ে খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।
রুদ্র নারায়ন রায়