অভিযোগ, ফোনে কথা বলা নিয়ে স্বামী রানা সর্দারের সঙ্গে শুভ্রার দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে শুভ্রার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ পরিবারের।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির রাস্তায় ‘সান্তা পুলিশ’! ফাইনের বদলে দেওয়া হল কেক, বড়দিনের আগে অভিনব অভিযান
advertisement
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বারুইপুর থানার কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা শুভ্রার সঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানার কেলেগোড় এলাকার বাসিন্দা রানার বিয়ে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এলাকায় মেলা ও পৌষ মাসে মেয়ে বাপের বাড়িতে থাকবে, এই কারণ দেখিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর শুভ্রাকে বাপের বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁর মা। কিন্তু রবিবার শ্বশুর ভদ্রেশ্বর সর্দার এসে জোর করে তাঁকে আবার নিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরেরদিনই আসে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ। প্রতিবেশীর ফোনে এই খবর পান মৃতার বাবা-মা।
পরিবারের অভিযোগ, শুভ্রার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতার বাবা মনা সর্দার লিখিত অভিযোগে স্বামী রানা, শ্বশুর ভদ্রেশ্বর, শাশুড়ি সুক্কুলি ও ভাসুর রাকেশ সর্দারের নাম উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
