কখনও সুন্দরবনের এদিক, কখনও সুন্দরবনের ওদিক। আজ কুলতলি তো কাল পাথরপ্রতিমা। সুন্দরবনের একের পর এক জায়গায় লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বাঘ। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে! তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কিছু কাজকর্মকেই কারণ হিসাবে তুলে ধরছে বনদফতর। বাঘকে আটকাতে জঙ্গল লাগোয়া জাল রয়েছে, সেগুলি কেটে ফেলে স্থানীয়রা নিজেদের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে বলে জানাচ্ছে বনদফতর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলঘেঁষা চা বাগানে লেপার্ড আতঙ্ক! ড্রোন উড়িয়ে প্যান্থারের গতিবিধিতে নজরদারি চালাচ্ছে বনদফতর
বাঘের ভয়ে কার্যত সিঁটিয়ে রয়েছে সুন্দরবন। গত বছর এক মাসে একাধিকবার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বাঘ। কখনও পায়ের ছাপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কখনও বাঘের গর্জনের জন্য রাতে আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিলেন বাসিন্দারা। তবে এবছরের তেমন ছবি ধরা পড়েনি। বন দফতর জানাচ্ছে, এ বছর শীতের মরশুমে সুন্দরবনে একটাও বাঘ লোকালয়ে ঢোকেনি। কিন্তু কেন লোকালয়ে বারবার বাঘ ঢোকে।
বনদফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, জাল কেটে বাঘ আনছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাছ আর কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বনদফতরের দেওয়া জাল কেটে ফেলছেন তারা। আগেও এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল, তারপরে নাইলনের নেট ছেড়ে শেষে স্টিলের ফেন্সিং দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল বনদফতর। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। সেটাও কেটে ফেলেছেন স্থানীয়রা। আর তাতেই, পৌষমাস বাঘের। অনেক জায়গাতেই আবার নদীতে চড়া পরে গিয়েছে। ফলে সাঁতার কাটতেও খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছে না বাঘকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাই বনদফতরের উদ্যোগে লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ রুখতে বাঘ প্রকল্পের বিস্তীর্ণ অংশ ঘেরা রয়েছে নেট দিয়ে। এছাড়া বিশেষ বিশেষ জায়গাগুলি বাঘের প্রবেশ থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত করতে পুরনো নেট পরিবর্তন করে নতুন নেট লাগানো হয়েছে। একইসঙ্গে, এখনও পর্যন্ত যেসব এলাকা অরক্ষিত রয়েছে সেগুলি প্রথমবার জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।





