দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই বাস টার্মিনাস থেকে সারা দিনে প্রায় কোনও বাসই পাওয়া যায় না। ফলে এত বড় একটি বাস টার্মিনাস শুধু শুধু পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। সেইসঙ্গে বাস না পেয়ে খরচ ও ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন, স্থানীয় বিধায়ক সব জেনেও এই বিষয়ে নীরব। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ বারুইপুরের মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: জঙ্গলে একা একাই খেলছিল মাতৃহারা ছোট্ট দামাল! আদর করে জলদাপাড়ায় নিয়ে এল বন দফতর
সম্প্রতি ফুলতলায় এক অনুষ্ঠানে এসে এই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে বাস নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিডিও সৌরভ মাজিকে মঞ্চ থেকেই তিনি নির্দেশ দেন কেন বাস কম এটা দেখার জন্য। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাসের সংখ্যা খুব কম। বাস পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ আছে। নতুন রুটে বাস দেওয়ার বিষয়টি যাতে নিশ্চিত হয় তা পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে দেখতে বলবেন বলে জানান।
এক সময় এখান থেকে দগঘা যাওয়ার বাস ছাড়তো। কিন্তু বর্তমানে সেগুলোও বন্ধ। ২০১৯ সালের ২ মার্চ ফুলতলায় এই বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরিকাঠামো সাজানো গোছানো। দোতলা ভবনের একতলায় স্টাফদের বসার ঘর। বাসের কন্ডাক্টর-চালকদের বসার ঘর, যাত্রীদের বসার জায়গা, ক্যান্টিন ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রথম দিকে এখান থেকে দিঘা, সল্টলেক, নবান্ন, হাওড়া, ধর্মতলা সব জায়গার বাস চলত। কিন্তু কয়েক বছর আগে থেকেই ধীরে ধীরে এখান থেকে বাস ছাড়া বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। বর্তমানে গোটা বাস টার্মিনাস আগাছায় ভরে গিয়েছে। গেটের দরজা, জানালা সব ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। এদিকে রাস্তায় বাস চলা বন্ধ হতেই সুযোগ বুঝে ভাড়া দ্বিগুণ করে দিয়েছে অটো। অভিযোগ এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ করলেই অটো চালকদের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। অটো-টোটর এই দাপট থেকে মুক্তি পেতে আরও বেশি করে বাস চালানোর দাবি উঠেছে।
সুমন সাহা