বংশপরম্পরায় অবশ্য একটি পরিবারই প্রতিমা তৈরি করে আসছে। ডাক পড়ে পুরোনো ঢাকিদেরও। পুরোহিতের ক্ষেত্রেও একই প্রথা চলছে। কালের নিয়মে জমিদারি আজ আর নেই। কিন্তু পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্যরা পুজোতে কখনও ভাটা পড়তে দেননি। সাড়ম্বরে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে এই বসু বাড়ির পুজো।
আরও পড়ুনঃ ঢাকে পড়ল কাঠি...আজই শুরু ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়ির দুর্গাপুজো
advertisement
দিন যত গড়িয়েছে জৌলুস বেড়েছে পুজোর। জৌলুস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পরিবারের ঐতিহ্যকেও সমানতালে ধরে রেখেছেন পরিবারের বর্তমান সদস্যরা। প্রথা মেনে একচালা প্রতিমার পুজো হয় আজও। বছরের বাকি সময় যে যেখানেই থাকুন পুজোর কটা দিন বসুবাড়ির সকলেই গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে বছরের এই সময়টাই বসুবাড়ির সদস্যদের পূর্ণমিলন হয়। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলেমিশে হই-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা পুজোর প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই পরিবারের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।
বাড়ির মহিলাদের পাশাপাশি ছোটরাও নানাভাবে সহযোগিতা করে। পরিবারের প্রবীণ সদস্য শুভেন্দু বসু বলেন,' আগে এই দালানে পুজোর সময় পরিবারের সদস্যদের ভিড়ে গমগম করত। এখন অবশিষ্ট দালানের ভগ্ন কিছু অংশ ছাড়া বাকি সব ইতিহাস। গ্রামে কয়েকজন মাত্র থাকি আমরা। পরিবারের বাকি সবাই বাইরে থাকে। তবে পুজোর সময়ে সকলেই বাড়ি চলে আসেন'।
সুমন সাহা