এছাড়াও ট্রলিং-এর সময় যাতে কোনও বিপদ না ঘটে সেজন্য মৎস্যজীবীরা ফিশিং হারবারগুলিতেও পুজার্চনার কাজ করেছেন। প্রতি বছর মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যাওয়ার আগে পূজা করেন মা গঙ্গাকে। সঙ্গে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে চলে মনসা পূজা। মৎস্যজীবীরা মনে করেন গঙ্গা এবং মনসাপূজার মাধ্যমে তাঁদের অভিষ্ট সিদ্ধ হবে। সমুদ্রযাত্রায় রক্ষা পাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: অভিশপ্ত করমণ্ডল থেকে উধাও স্বামী, নেই মর্গে, হাসপাতালে, চন্দনের খোঁজে দিশেহারা!
advertisement
সাধারণত বর্ষার শুরুতে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেন মৎস্যজীবীরা। সেসময় নদী উত্তাল থাকে। সমুদ্রের বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে ট্রলারগুলির গায়ে। মাঝে মাঝে এর ফলে ট্রলারডুবির মতো ঘটনাও দেখা যায়। তার উপর থাকে মাছ কম পাওয়ার সম্ভবনা। এই সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মৎস্যজীবিরা সমুদ্রে যাওয়ার আগেই এই পুজার কাজ সম্পন্ন করেন।
এ নিয়ে মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সদস্য রবীন দাস জানিয়েছেন, পঞ্জিকা অনুযায়ী এবছর জালে বেশি মাছ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মৎস্যজীবীরা আশায় রয়েছেন। পূজার্চনার কাজ করেই তাঁরা বেরিয়ে পড়বেন গভীর সমুদ্রের দিকে। তিন বছরের খরার পর এবছর কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
নবাব মল্লিক