বারুইপুরের বিদ্যুৎ অফিসের এক আধিকারিক বলেন, এমন ঘটনায় টাকা দিয়ে ঠকে গিয়ে প্রায় সময়েই গ্রাহকরা ছুটে আসছেন অফিসে। জানতে চাইছেন বিদ্যুৎ বিল কমানোর মেশিনের ব্যাপারে। আমরা প্রত্যেক গ্রাহককেই সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় নতুবা বারুইপুর পুলিশ জেলার সাইবারে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছি। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার নির্মলেন্দু বিশ্বাস বলেন, এই প্রতারণা থেকে সাবধান হতে অবিলম্বে প্রতি মহকুমায় বিদ্যুৎ অফিস থেকে এলাকায় সচেতনতার জন্য মাইকিং প্রচার করতে বলা হয়েছে। এই রকম প্রতারণার ফাঁদে পড়লে অবিলম্বে থানায় অভিযোগ করুন। কোনও মেশিন বসালে বিলের পরিবর্তন হয় না।
advertisement
আরও পড়ুন: দুয়ারে কালো ঘোড়া! অভাব কাটিয়ে ভাগ্য ফেরাতে চান? তাহলে বাড়িতে ডাকুন এই কালো ঘোড়া! জানুন
বারুইপুরের বাসিন্দা গৃহবধূ অসীমা মণ্ডল বলেন, তিন মাস মিলিয়ে এমনিতে বিদ্যুতের বিল আসে ৪ হাজার। এক যুবতী কোনও কোম্পানি থেকে আসছে বলে পরিচয় দিয়ে কত বিদ্যুতের বিল আসে জানতে চায়। তারপরে মিষ্টি কথায় টোপ দেয় এই বিল যদি কমানোর ব্যবস্থা আমরা করে দিই নেবেন তো? বলে, মিটারের পাশে একটি মেশিন দেওয়ালে আটকাতে হবে। সেই মেশিনে সুইচ চালু থাকবে। দেখবেন তিন মাসে এক ঝটকায় বিল মাত্র ১ হাজার বা ৫০০টাকা হয়েছে। এর জন্য ৮০০ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
ওই যুবতী এও জানিয়েছিল তাঁদের বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে কথা হয়ে আছে। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। তাই আমাদের সন্দেহ হওয়ায় নিইনি। আবার বাসিন্দা সুপ্রিয় গুহ বলেন, শুধু যুবতী একা নয়, এই কাজে বিদ্যুৎ অফিসের মিটার দেখতে আসা রিডারের যোগও আছে। রিডারকে নিয়েই তাঁরা এই কাজে নেমেছে। ইতিমধ্যেই বারুইপুরের কয়েকটি ওয়ার্ডের পাশাপাশি পঞ্চায়েত এলাকায় মানুষকে কার্যত টুপি পরিয়ে মেশিন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে মিটারের পাশে। একমাস যেতে না যেতেই বিদ্যুৎ বিলের পরিবর্তন না দেখে অনেকেই এর জেরে বিদ্যুৎ অফিসের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
সুমন সাহা