বাংলা থেকে ১২ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযেগিতায় যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৯ জন পদক জিতেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে যোগ দেওয়া ছয় জনই পদক জিতেছেন। একেকজন আবার একাধিক পদকও জিতেছেন। মন্দিরবাজারের বংশীধরপুরের বাসিন্দা রাহিদা মোল্লা একটি সোনা ও একটি ব্রোঞ্জ জিতেছেন। প্রতিযোগিতায় একটি বিভাগে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন’ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ স্বপ্নের অভিযান! সুভাষগ্রামে নেতাজির বাড়ির মাটি নিয়ে তৈরি হবে অমৃত মৃত্তিকা বাগান
বারুইপুরের নবগ্রামের বাসিন্দা মমতাজ সর্দার জিতেছেন একটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ। মন্দিরবাজারের বলদেবপুরের বাসিন্দা বাবাই কর্মকার জিতেছেন দু’টি ব্রোঞ্জ। একটি করে সোনা জিতেছেন জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের বাসিন্দা তমন্না রায়চৌধুরী ও বহড়ুর বাসিন্দা নওশিন মোল্লা। বারুইপুরের নবগ্রামের বাসিন্দা সাকিল সর্দার পেয়েছেন একটি ব্রোঞ্জ পদক।
বছর কয়েক আগে বারুইপুর পুলিশ জেলা ও জয়নগর থানার উদ্যোগে প্রত্যয় নামে একটি প্রকল্প চালু হয়েছিল। সেই প্রকল্পের অধীনে স্কুল পড়ুয়াদের ক্যারাটে শেখানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পদকজয়ী তিন প্রতিযোগী রাহিদা, মমতাজ এবং বাবাই সেই প্রত্যয় প্রকল্পেই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুন ঃ ভাঙড়ে আবারও বোমা বিস্ফোরণ, বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো গোটা এলাকা
প্রত্যয়ের বর্তমান সভাপতি তথা জয়নগর উত্তর চক্রের স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, “ছেলেমেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ দিতে প্রত্যয় এই প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল। এই পদক জয় প্রত্যয়ের বড় সাফল্য।” ক্যারাটের জাতীয় প্রশিক্ষক দেবব্রত হালদারের প্রশিক্ষণেই এই রাজ্য থেকে প্রতিযোগীরা দিল্লি গিয়েছিলেন।
দেবব্রত বাবুর কথায়, “এবারই প্রথম এই প্রতিযোগিতা হল। আমাদের ১২ জন ছেলেমেয়ের মধ্যে ৯জনই পদক জিতেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছেলেমেয়েদের সাফল্য নজরকাড়া। আগামিদিনে ক্যারাটের প্রসারে এই সাফল্য বড় ভূমিকা নেবে।”
সুমন সাহা