১৬ তারিখ তারা মাছ ধরেছেন, কিন্তু ১৭ তারিখে আবহাওয়া খারাপ থাকায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ট্রলারের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জল ঢুকতে থাকলে জীবন বাঁচাতে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে জলে ঝাঁপ দিয়েছিল ওই মৎস্যজীবীরা। ১৯ জনের মধ্যে উত্তাল সমুদ্রে দুজন দলছুট হয়ে যায়। অবশেষে সুন্দরবনের কালীবাড়ি দ্বীপে আশ্রয় নেন তারা। কিন্তু বাঘের ভয়ে জঙ্গলের গাছের উপর রাত কাটায় ওই মৎস্যজীবির দল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খবরের জের! মশা নাশক স্প্রে হচ্ছে কুমারডিহিতে
পরদিন সকালে কাঁকড়া ধরার নৌকা দেখতে পেয়ে তারা সাহায্যের আবেদন জানালে ওই নৌকায় থাকা মৎস্যজীবীরা ১৭ জন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করে মইপিট কোস্টাল থানায় নিয়ে আসে। পোস্টাল থানার পক্ষ থেকে তাদের জয়নগর কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করে একটি ত্রাণ শিবিরে রেখে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দুজন সঙ্গীকে হারিয়ে আপাতত মইপিট থানা আধিকারিকদের তৎপরতায় ত্রান শিবিরে সুস্থ আছেন ১৭ জন মৎস্যজিবি। ফোনের মাধ্যমে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলেও আইনি জটিলতায় এখনো বাড়ি ফিরতে পারছেন না তারা।
আরও পড়ুনঃ জয়ের আনন্দে সবুজ আবির মেখে বিজয়োল্লাসে সামিল বিধান
ভারত বাংলাদেশ জলসীমানা আইন অনুযায়ী দেশে ফিরতে দু দেশের আইনি কাগজপত্র তৈরির পক্রিয়া চলছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানা যায়। কিন্তু ঠিক কবে তারা দেশে বা বাড়িতে ফিরতে পারবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে না কেউই। তাই দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে মইপিঠ ত্রাণ শিভিরে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবী। উত্তাল সমুদ্রে দুই সঙ্গীকে হারিয়ে এখনও পর্যন্ত তাদের চোখে মুখে আতঙ্ক। বাড়ির লোকেদের কাছে পেলে হয়তো অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে এই মৎস্যজীবীর দল। তাই তান শিবিরে আটকে থাকা মৎস্যজীবীরা নিজের দেশে বা বাড়িতে কিভাবে ফিরবে সেটাই এখন তাদের কাছে সব থেকে বড় বিষয়। সাংবাদিকদের জানালেন আটকে থাকা মৎস্যজীবীরা।
সুমন সাহা





