আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোতেও থিম, গ্র্যান্ড লিজবোয়া’র ভেতর লালকেল্লা!
কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ থেকে। যার অর্থ ‘কে জেগে আছো’। পূরাণ মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন মর্ত্যে নেমে আসেন ধন-সম্পদের দেবীর লক্ষ্মী। সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশীর্বাদ করেন। কিন্তু যে বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে সেই বাড়িতে ধন-দৌলতের দেবী প্রবেশ করেন না। মুখ ফিরিয়ে চলে যান। আর তাই নাকি রাত জেগে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও কলাগাছ কেটে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে পাড়ি দিচ্ছেন বিক্রেতারা। লক্ষ্মীপুজোর সময় কলাগাছ এবং শীষডাব চড়া দামে বিক্রি হয় কলকাতার বাজারে।
advertisement
আসলে কলাগাছকে অনেক বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মী দেবী রূপে পুজো করা হয়। কোথাও আস্ত কলাগাছকে কাপড় পরিয়ে সাজানো হয়। আবার কেউ কলার খোলা কেটে নৌকা তৈরি করে তাতে পঞ্চশস্য এবং সোনা-রূপার মুদ্রা রেখে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করেন। আজও কলাগাছকে দেবী বিষ্ণুপ্রিয়া বলে মনে করেন অনেকে। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোয় তাই কলকাতায় বহু বাড়িতেই পূজিত হয় কলাগাছ।
সুমন সাহা