জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব তার ফলেও অনেক প্রজাতি নষ্ট হচ্ছে। শুধু এপার বাংলায় নয়, ওপার বাংলাতেও তার প্রভাব পড়ছে। বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত। এইরকম চলতে থাকলে ভাত মিলবে কিনা উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু, ঘটনা হল, কনকচূড়, কালাভাত, চামড়মণির মতো অনেক প্রকারের ধান হারিয়েও গিয়েছে। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় বীজ সংগ্রহ করে সুন্দরবনে এমনই হারিয়ে যাওয়া ধানের চাষ শুরু করেছেন চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পৌষমেলা শুরুর দিনেই বড় ধাক্কা বিশ্বভারতীর! আদালতে জুটল তিরস্কার, জরিমানা! জেলা প্রশাসনকেও ভর্ৎসনা
মাটির হাঁড়ি, কলসিতে বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বীজ। সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় এই সংরক্ষণ করা হবে। জয়নগরের মোয়া তৈরির উপকরণ হিসেবে বিখ্যাত ছিল কনকচূড় ধান। কালাভাত ধান ক্যানসার প্রতিরোধক। বিদেশে এই প্রকারের চালের যথেষ্ট চাহিদা আছে। কিন্ত, এ রাজ্যে এখন আর সেভাবে চাষ হয় না। এরকমই নানা প্রকারের ধানের চাষ হচ্ছে সুন্দরবনে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একসময়ে সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রকারের দেশি ধানের চাষ হত। সাগরের নোনাজলেও সেইসব ধানের কোনও ক্ষতি হত না। উঁচু-নিচু যেকোনও জমিতে চাষও করা যেত। কিন্তু, পরবর্তীকালে বেশি লাভের আশায় উচ্চফলনশীল হাইব্রিডের ধান চাষের রেওয়াজ চালু হয়। কিন্তু, চাষের মাত্রারিক্ত খরচ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা সামনে সেভাবে লাভের মুখে দেখতে পাচ্ছেন না চাষিরা। সেজন্য বাংলার চিরাচরিত ধান চাষের দিকে ঝুঁকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।





