সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফ থেকে নিষেধ করার পরেও নদী ‘চুরি’ অব্যাহত। কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না নদী দখল করে নির্মাণ এমনকি সুন্দরবনের অস্তিত্বের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি ম্যানগ্রোভের জঙ্গলেও নির্বিচারে ধ্বংস করছে কুলতলির মেরিগঞ্জ-২ গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী গ্রামের পেটকুল বাজার এলাকায় পেটকুলচাঁদ নদীর পাড়ে নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমানে নতুন পুলিশ কিয়স্কের উদ্বোধন, মিষ্টিমুখ পথচারীদের
সকলের চোখের সামনে বেআইনিভাবে নদী দখল করে কংক্রিটের নির্মাণ প্রসঙ্গে নিউজ ১৮ বাংলার ক্যামেরার সামনে অকপট স্বীকারোক্তি সোনালী নার্সিংহোমের কর্ণধার ইমরান খানের। তিনি বলেন, এলাকায় অনেকেই নদীর পাড় অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁদের দেখেই আমিও বাড়ি তৈরি করছিলাম, কারণ আমার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রশাসন নির্মাণকাজে বন্ধ করতে বলেছে। এইভাবে বেআইনি নির্মাণ কাজের সামিল হয়েছেন এলাকার রাজনৈতিক নেতারাও। বিজেপির কুলতলি মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ পালের বিরুদ্ধে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল কেটে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে ম্যানগ্রোভ ছিল না সেখানে বাড়ি করেছি। আর যেখানে ম্যানগ্রোভ রয়েছে সেখানেও আগামী দিনে বাড়ি হবে। তার এই মন্তব্যের ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এদিকে তারাপদ পালের দাবি, তিনি ওই জায়গার পাট্টা পেয়েই নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, বেআইনিভাবে নদীবক্ষ থেকে মাটি কেটে, ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ি। এতে এলাকার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন এই বিষয়ে কড়া ভূমিকা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে কুলতলির বিধায়ক গনেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে কোথাও বাড়ি বা অন্য কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। বন দফতর ও পুলিশকে বিষয়টি কঠোর হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারাই নদী দখল করবে ও ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুমন সাহা