তখন ছিলো মায়ের মাটির মন্দির। তারপর দুর্গার এই মহিমা স্মরণীয় করে রাখতে তারপর দমদমার সরদার পরিবার একটি নতুন পাকা মন্দির তৈরি করে। দুর্গামূর্তি স্থাপনও হয়। তখন থেকে ঘটা করে পুজো করে করেন সরদাররা। পুজোর সময় দেবীর মহিমা প্রচারের জন্য বিসর্জনের আগে দু’বার বন্দুক থেকে আকাশে গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ আজও আছে। আগে বয়স্করা করতেন। বর্তমান নব প্রজন্ম সেই রীতি এখনও চলে আসছে। তাই মুজোর আগে চলছে বন্দুক পরিষ্কার করার কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগে মহেশতলায় কাপড়ের গোডাউনে লাগল বিধ্বংসী আগুন
বাংলা ১৩০৭ সাল থেকে এই পুজো হয়। পরিবারের সদস্যদের চাঁদা তুলেই এই পুজো করেন। পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর সরদার ও রঞ্জন সরদার। এক প্রবীণ সদস্য বলেন, ‘গ্রামের মানুষজন পুজোর কয়েকদিন আনন্দে মেতে ওঠেন। মন্দির সংস্কার করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে । প্রতিমা তৈরির কাজ জোর কাদমে চলছে। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর পর প্রতিমা নির্মাণ শুরু হয় মন্দিরে।’ এই পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন দেশে- বিদেশে। তবে সবাই বাড়ি আসেন পুজোর সময়।
ষষ্ঠী থেকে নিরামিশ খান পরিবারের সদস্যরা। শেষে নবমীর দিন মাকে ভোগ দিয়ে তবেই হয় আমিষ আহার। পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘মাকে রুপোর গয়না পরানো হয়। বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করছে এক কুমোর পরিবার।’ পরিবারের এক সদস্য দীবাকর সরদার বলেন, “বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছি আমরা। আমাদের দুর্গা খুব জাগ্রত নিষ্ঠা ভাবে মানত করলে এখানে সঙ্গে সঙ্গে তার ফল স্বরূপ পাওয়া যায়।” পরিবারের দেড়শো সদস্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি পুজোর আয়োজনে। অষ্টমীর দিন অঞ্জলির পর এক কুইন্টাল উপরে বাতাসা হরির লুট দেওয়া হয়। মানত পূরণের জন্য মহিলারা দণ্ডি কাটেন এই মন্দিরে।
সুমন সাহা