ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট ২০২২ অনুযায়ী এই সমস্ত টিয়া পাখি নির্ধারিত প্রজাতির বলে জানিয়েছেন ডাবগ্রাম রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জঙ্গল থেকে টিয়া পাখিগুলোকে খাঁচা বন্দি করে নিজের বাড়িতে গিয়ে রাখত গোপাল কুন্ডু বলে ওই ব্যক্তি। শিলিগুড়ি শহর সহ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় চোরাপথে পাখিগুলি পাচার করত সে । এদিনও একইভাবে বাজারের ব্যাগে করে টিয়া পাখি পাচার করতে নৌকা ঘাট এলাকায় এসেছিল গোপাল।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতভর তল্লাশি, বান্ডিল-বান্ডিল ভর্তি টাকা! বালিগঞ্জে আর যা পেল ইডি, বিরাট চমক
আরও পড়ুন: টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, এবার রাজ্যে আসছে ক্যাগ অডিটের বিশেষ দল
গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নৌকাঘাট এলাকায় টিয়া পাখি-সহ পাচারের মূল পান্ডা গোপাল কুন্ডুকে নৌকা ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের ডাবগ্রাম রেঞ্জর বন দফতরের কর্মীরা।রেঞ্জ অফিসার শ্যামাপ্রসাদ চাকলাদার জানিয়েছেন, নৌকা ঘাট এলাকায় তাঁকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করায় তাঁরা জানতে পারেন যে তার বাড়িতেও অনেক পাখি রয়েছে। তারপর সেখান থেকে তাঁর বাড়ি বাগডোগরা থানার অন্তর্গত ভুজিয়াপানি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো বেশকিছু টিয়া উদ্ধার হয়।
বন দফতর সূত্রের খবর,টিয়া পাখিগুলোকে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে তারপর তাদের শারীরিক অবস্থা বুঝে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। ধৃত ওই ব্যক্তিকে আগামীকাল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পাঠানো হবে।
অনির্বাণ রায়