আরও পড়়ুন: রাত জেগে গরু ফিরিয়ে আনলো বিএসএফ, প্রাণের ‘ধন’ ফিরে পেয়ে খুশি মালিক
২৩ মে ক্রান্তি ব্লকের চেল নদী থেকে এই পথযাত্রা শুরু করেন কাঠালগুড়ির বাসিন্দা নূর নবিবুল ইসলাম। মালবাজার ও ক্রান্তি এলাকার মানুষদের দীর্ঘদিনের সেতুর দাবি নিয়ে তিনি পদযাত্রা শুরু করেছিলেন। এই পদযাত্রায় কিছুটা পথ তাঁর সঙ্গে পা মেলান পদ্মশ্রী করিমুল হক। নবিবুলবাবু শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের নেতাদের বাড়িতে গিয়ে চেল নদীতে সেতুর দাবি তুলে ধরে স্মারকলিপি দেন৷ শনিবার রাতে উত্তরকন্যায় এসে পৌঁছন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর এই দাবি তুলে ধরতেই উত্তরকন্যা পর্যন্ত পদযাত্রা বলে জানান তিনি। তবে রবিবার সরকারি নিয়ম মেনে উত্তরকন্যা বন্ধ থাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সোমবার দুপুর ১২ টি নাগাদ স্মারকলিপি জমা দেন।
advertisement
এই পদযাত্রা প্রসঙ্গে নূর নবিবুল ইসলাম জানান, ডুয়ার্সের মাল ও ক্রান্তি ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে চেল নদী। শীতে হাঁটু জল থাকলেও বর্ষায় নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ক্রান্তি এলাকার মানুষদের মালবাজার শহরে আসতে হলে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ঘুরপথে আসতে হয়। এদিকে গ্রামে কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ঘুরপথে দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়িঘর। গুরুতর অসুস্থকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও হয়রানির মুখে পড়তে হয় এখানকার মানুষকে। একমাত্র চেল নদীর উপর সেতু তৈরি হলে তবেই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।
অনির্বাণ রায়