এ বছর ইতিমধ্যে ভিনরাজ্যে প্রায় ২ কোটি প্রদীপ চলে গিয়েছে বলে -জানাচ্ছেন মৃৎশিল্পী মনরঞ্জন পাল। প্রদীপ বানাতে ব্যস্ত মাম্পী পাল, বিষ্ণু পাল। মাম্পি বলেন, 'প্রায় ৫ মাস আগের থেকেই কাজ শুরু করেছি। আমাদের বানানো প্রদীপ বদূরদূরান্ত পর্যন্ত যায়। ভিনরাজ্যে প্রদীপ পাঠানো শেষ। এখন যে প্রদীপ বানানো হচ্ছে, সেগুলি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যাবে।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগে ধৃত এক
শিলিগুড়িতে সাধারণত মাটির ছোট, বড়, মাঝারি- তিনটি আকারের - প্রদীপ তৈরি হয়। শহরের বাজারে ডিজাইনার প্রদীপগুলি বাইরে - থেকে আসে। এবছর মাটি সহ সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ায় প্রদীপেরও দাম বেড়েছে। মনোরঞ্জনের কথায়, “আগের বছর এক গাড়ি মাটি ৪ হাজারে কিনেছি। এবছর তা বেড়ে সাড়ে সাত থেকে আট হাজারে দাঁড়িয়েছে। ফলে আমাদেরও প্রদীপের দাম বাড়াতে হয়েছে।'
আরও পড়ুনঃ চিনা লাইটের দাপটে মোমবাতির কারখানা বন্ধ হবার উপক্রম!
আগেরবার ছোট আকারের হাজারটা প্রদীপের দাম ছিল ৬০০ টাকা এবার তা বের হয়েছে ৮৫০টাকা। এক একটা বড় প্রদীপের পাইকারি দাম বেড়ে হয়েছে চার টাকা। বাজার ছেয়ে যাওয়া বৈদুত্যিক বাতি ও প্রদীপের যুগে কতটা চাহিদা রয়েছে মাটির প্রদীপের? সুনীল পালের কথায়, ‘অনেকে বৈদ্যুতিক বাতির পাশাপাশি পুরোনো প্রথা মেনে দীপাবলিতে বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালান। অনেক অবাঙালি পরিবারেও এই মাটির প্রদীপ জ্বালানোর রেওয়াজ আছে। তাই চাহিদা কিছুটা কমলেও শেষ হয়ে যায়নি।' অনেকেই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে প্রদীপই জ্বালান বলে জানালেন মাম্পি পাল।
Anirban Roy