যুবকের পরিবার ও আত্মীয়রা ওই যুবতীকে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করলেও বিফল হয়। কিন্তু যুবকের পরিবার মেয়েটিকে ঘরে তুলতে রাজি হয়নি। সারাদিন ধরনায় বসে থাকার পর অবশেষে দাবি পূরণ হয় যুবতীর। তাঁকে গ্রহণ করে নেয় প্রেমিকের পরিবার। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হেমন্ত রায় বলেন, “মেয়েটি আমার সংসদ এলাকার। এমনিতেই তো কোনও মেয়ে ধরনায় বসবে না। উভয় পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর মেয়েটিকে গ্রহণ করে যুবকের পরিবার।’
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সাতসকালে ওই যুবতী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন। তাঁর এক আত্মীয় তাঁকে পৌঁছে দিয়ে যান। যুবতীর বাড়ি ওই এলাকারই মহানভিটা গ্রামে। যুবতী বলেন, ‘আমরা দুজনই সাবালক। আমাদের দুজনেরই বয়স ২৫ বছরের বেশি। প্রায় পাঁচ বছর আগে সামাজিক মাধ্যমে (ফেসবুকে) আমাদের পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।’ বিষয়টি উভয় পরিবারের সদস্যরা জানেন।
ছেলের পরিবারের তরফে মেয়ের পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেসময় সমস্যার জন্য তাঁরা রাজি হননি বলে যুবতীর দাবি। কয়েকদিন আগে তাঁরা দুজনে ঘুরতেও বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে ছেলেটি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে যুবতীর অভিযোগ।
এরই মধ্যে ছেলেটির অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। ঘটনা শুনেই এদিন বিয়ের দাবিতে ধরনায় বসেন যুবতী। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে এসে বোঝানোর চেষ্টা করলেও যুবতী নিজের দাবিতে অনড় থাকেন।
আরও পড়ুন, পরীক্ষা নিয়ে মুশকিল আসান, উচ্চ মাধ্যমিকের সব কাজ অনলাইনে! বড় সিদ্ধান্ত সংসদের
আরও পড়ুন, পাশের দাবিতে আন্দোলন করেও লাভ হয়নি, আত্মহত্যা উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর!
যুবকের মায়ের বক্তব্য, “আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির যোগাযোগ ছিল। মেয়েটিকে পুত্রবধূ করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু মেয়ের পরিবারের সদস্যরা রাজি হয়নি। তাই ছেলে ওই মেয়েকে আর বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করা হয়।’ এরপর এলাকার জনপ্রতিনিধিরা উভয় পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর প্রেমিকা তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে স্থান পান।
অনির্বাণ রায়