শুধু তাই নয়, শিকারার বসে লোকসঙ্গীত শুনতেও পারবেন পর্যটকরা। এর ফলে যেমন নৌকা চালকরা অর্থনৈতিক ভাবে যেমন সাবলম্বী হচ্ছেন। তেমনই পর্যটকরা আরও বেশি আনন্দ পাচ্ছেন। পর্যটকদের কাছে গজোলডোবা একটা আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল। বহু মানুষ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে আসে। তাই আরও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়াতে কাশ্মীরের ডাল লেকের আদলে এবার তিস্তা ব্যারেজের পাশে গজলডোবাতে শিকারা চালু করেছে পর্যটন দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন: গলায় মাছের কাঁটা ফুটে গেলে কী করেন? বড় বিপদ এড়াতে চাইলে জানুন
গজলডোবার জলাশয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ৭২টি নৌকা চলে। এর মধ্যে কিছু নৌকাগুলিকে শিকারার রূপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে নৌকা বিহারের পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিতে চলেছে পর্যটন দফতর। ডাল লেকের আদলে নৌকা বিহারের ফলে পর্যটকদের পাশাপাশি খুশি গজলডোবার নৌকা চালকরা। নৌকা চালকরা বলেন, "শিকারা চালু হওয়ার ফলে আমাদের খুব ভাল হয়েছে। পর্যটকরা আরও বেশি আসছে এখানে। শীতের সময় প্রচুর পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে এখানে।"
আরও পড়ুন: চোরকে হাতেনাতে ধরে 'জামাই আদর', কারণ জানলে চমকে যাবেন! জলপাইগুড়িতে অবাক কাণ্ড
দূরদূরান্ত থেকে লোক আসছে শিকারার মজা উপলব্ধি করতে। তবে মাঝিদের দাবি, বর্ষাকালে যেহেতু বৃষ্টির ফলে পুরোপুরি তিন মাস বন্ধ থাকে এই পরিষেবা, তাই সরকার তাদের দিকে যদি একটু নজর দেয় তাহলে তারা উপকৃত হবে। এছাড়াও পর্যটকদের দাবি, এখন থেকে কাশ্মীরের ডাল লেকের স্বাদ গজলডোবাতে পাওয়া যাবে। পর্যটন দফতর যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে খুশি তারা ।
অনির্বাণ রায়