এবছর শিলিগুড়ি সূর্য নগর ফ্রেন্ড ইউনিয়ন ক্লাবের পক্ষ থেকে এই উৎসব পালন করা হল সূর্যনগর ময়দানে। দোলের আগের সন্ধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় আজও পালিত হয় ন্যাড়াপোড়া বা বুড়ির ঘর পোড়ানো। যদিও হালে বহর কমেছে। শহরে তো কমেছেই, শহরতলি-মফস্বলেও কমছে। শুকনো খড়কুটো, পাতা দিয়ে বুড়ির ঘর তৈরি হয়। তা জ্বালিয়েই ন্যাড়াপোড়ার উৎসব পালিত হয়।
advertisement
এই ন্যাড়া পোড়ায় পিছনে লুকিয়ে আছে ভক্ত প্রহ্লাদের ভক্তির গল্প। যা মন্দের উপর ভালোর জয় হিসাবে দেখা হয়। রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত ছিলেন, কিন্তু হিরণ্যকশিপু তা পছন্দ করতেন না। তিনি পুত্রকে নারায়ণের ভক্তি থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রহ্লাদ রাজি হননি।
আরও পড়ুন, রঙের পরশে কাটে অবসাদের অন্ধকার, জানেন কি দোল নিয়ে আসে একরাশ 'হ্যাপি হরমোন'..
আরও পড়ুন, দোলের রঙে ভয় নেই, এই সব গ্যাজেট সঙ্গে থাকলেই জমে যাবে হোলির পার্টি
হোলিকার কাছে এমন একটি পোশাক ছিল, যা আগুনও পুড়ত না। হোলিকা প্রহ্লাদকে তার সঙ্গে আগুনে বসতে রাজি করান। অগ্নি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর কাছে তাঁকে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করলেন। এই সময় ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদের প্রাণ রক্ষা পায় এবং হোলিকা দগ্ধ হয়। আজকাল আধুনিকতায় ছোঁয়ায় হারিয়ে এ সব রীতি-রেওয়াজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
অনির্বাণ রায়