ধীরে ধীরে ছোটো বেলায় ভালো লাগা ভেন্ট্রিলোকুইস্ট এর খেলার নেশাকেই পেশা করে নেন তিনি৷ এযাবৎ তিনি এই নিয়েই কাজ করে চলেছেন৷ ভেন্ট্রিলোকুইস্ট যা বাংলায় মায়াস্বর৷ এই মায়াস্বরবলতে এক ধরনের পরিবেশন কলাকে বোঝানো হয়। যিনি এই খেলাটি দেখান তিনি হলেন মায়াস্বরী। একজন মায়াস্বরী মঞ্চে এমনভাবে তার কণ্ঠকে ব্যবহার করেন বা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন যাতে মনে হয় যে তার হাতে থাকা পুতুল তার সঙ্গে কথা বলছে৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুলিশের অভিযানে উদ্ধার তিন কোটি টাকার ব্রাউন সুগার, গ্রেফতার ৬
এখানে পুতুল নিয়ে মঞ্চে থাকা ব্যক্তি ও একটি পুতুলের মধ্যে মজাদার কথোপকথনে চলে এই উপস্থাপনা। কখনো হাসি-ঠাট্টা, কখনো জীবন দর্শন, কখনো সমাজের হালচাল নিয়ে রচিত হয় কথোপকথনের বিষয়বস্তু। এই উপস্থাপনা খুব সূক্ষ্ম হওয়া বাঞ্ছনীয় যাতে করে দর্শকদের মাঝে সন্দেহ না হয় যে দুজন একই ব্যক্তি। এভাবেই রাম প্রসাদ ব্যানার্জী এই কথা বলা পুতুল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সমাজ সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন৷ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে তিনি এই পুতুল খেলার মাধ্যমে চেতনার বার্তা দেন৷
আরও পড়ুনঃ রাজবংশীদের দুর্গা পুজো, তান্ত্রিক মতে পুজো শতাব্দী প্রাচীন দেবী মালডাঙ্গীর!
তিনি কখনো প্লাস্টিকের দূষন, করোনা, এইডস, শিক্ষা, উপভোক্তা বিষয়ক সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন৷ দীর্ঘ ১৯বছর ধরে ভেন্ট্রিলোকুইস্ট নিয়ে কাজের অভিঞ্জতা থেকে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে এটা নিয়ে কাজ করার কোন উৎসাহ দেখেন নি৷ এই শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে৷ নতুন প্রজন্ম যদি এগিয়ে না আসে তাহলে এটি একদিন পুরোপুরি হারিয়ে যাবে৷ এতেও কেরিয়ার হতে পারে ৷ নতুন প্রজন্ম এটা শিখতে পারে৷ যদি কেউ শিখতে আগ্রহি থাকেন তাকে তিনি সমস্ত রকম সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন৷
Anirban Roy