প্রথম দিকে অল্প জমিতে এই ফলের চাষ শুরু করলেও পরে এর চাহিদা ও বাজার দেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে এখন প্রায় দেড় বিঘা জমিতে চাষ করছেন৷ তিনি বলেন এটি ভারতীয় ফল না হলেও বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে এবং ভারতে এর চাষ খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিদেশের মাটিতে এই ফলটি বেশ বিখ্যাত, কিন্তু এখন ভারতের মানুষ এটি পছন্দ করছে। বাজারে যেমন চাহিদা রয়েছে তেমন রয়েছে ড্রাগন ফলের দামও ৷ এই ফল চাষের জন্য তিনি মহিলাদের এগিয়ে আসার বার্তা দেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: বাগদা সীমান্তে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার দুই বিএসএফ জওয়ান
এটি চাষ করলে কারও উপর নির্ভর করে চলতে হবে না, এতে অনেক উপার্জন করা যায়। মহিলারা তাঁদের প্রতিদিনের কাজ করেও এই চাষ করতে পারেন৷ এই ফল চাষের জন্য বেশি পরিশ্রমের দরকার হয় না৷ যেখানে জমি শুস্ক বা জল কম থাকে, সে সব জায়গায়ও এই ফল খুব ভালো হয়৷এই ফল শুধু ফল হিসেবে বিক্রি হয় না এই ড্রাগন ফল থেকে জ্যাম, আইসক্রিম, জেলি উৎপাদন, ফলের রস, ওয়াইন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয় । এছাড়াও, এটি রূপ সজ্জার সরঞ্জামেও ব্যবহৃত হয়৷ এটির চাহিদা বারোমাস থাকে৷
বর্তমানে চাকরির বাজারে যা সঙ্কট সেই পরিস্থিতিতে বাড়িতে বেকার বসে না থেকে তিনি সবাইকে এই চাষ শুরু করতে বলেন তিনি৷ যদি কেউ ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহি থাকেন তাঁকে তাঁর দীর্ঘ পাঁচ বছরে ড্রাগন ফল চাষে যে অভিঞ্জতা হয়েছে তা থেকে তিনি সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন৷ তিনি আরও জানান, ড্রাগন ফলের চাষ করে ফল বিক্রি করে যেমন উপার্জন হবে সেরকম ড্রাগন ফলের চারা বিক্রি করেও উপার্জন করতে পারবেন৷ মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য ড্রাগন ফলের চাষ খুবই উপযুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি৷
অনির্বাণ রায়





