এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই তরাই এবং ডুয়ার্স এলাকায় বছরের এই সময় যে পরিমাণ চা উৎপাদন হয় তার অনেকটাই কমে গিয়েছে। জানা গিয়েছে ডুয়ার্সে ইতিমধ্যে উৎপাদন কমেছে প্রায় ২১ থেকে ২২ শতাংশ অন্যদিকে তরাই এলাকায় এই উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৯ থেকে ২০ শতাংশ। আর এতেই মাথায় হাত এখন চা বাগান মালিকদের। চা বাগান ম্যানেজার জ্ঞান প্রকাশ দীক্ষিত বলেন, উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাগানের আয় অনকেটাই কমেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাট সৌন্দর্যায়ন শিলিগুড়ি পুরনিগমের, বসছে সি সি ক্যামেরা
কিন্তু ব্যয় একই রয়েছে, তার ওপর সামনের পুজোর মৌসুমে শ্রমিকদের বোনাস দিতে সমস্যায় পড়তে হবে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত। অন্যদিকে টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গ তরাই ও ডুয়ার্স শাখার সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, পুরো উত্তরবঙ্গে মোট ২৭৬টি বড় চা বাগান রয়েছে তার মধ্যে অনেক চা বাগানের পরিস্থিতি খুব খারাপ।
আরও পড়ুন: লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটে পূজোর সামগ্রী ফেলার কন্টেইনার
এমনিতেই প্রবল বৃষ্টিতে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে প্রচুর চা বাগান। তার ওপর কখনো রোদ আবার কখনো ভারী বৃষ্টিতে চা পাতার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ চা পাতায় পোকা লেগে গিয়েছে। হলে স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় চা শিল্পের উপর এর একটা বড় প্রভাব পড়ছে। তাই আমরা চাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়ই এই চাষের বুকে নিয়ে ভাবুক। আমাদের দাবি অবিলম্বে চা শিল্পকে কৃষিজ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
Anirban Roy