প্রসঙ্গত, লাইব্রেরির বই নিয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত না দিতে পারলে কিছু টাকা ফাইন দিতে হয়। তবে সেই ফাইন দিতে গিয়েও অনেক সময় ভোগান্তির শিকার হতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এবার থেকে এই সমস্যা আর হবে না বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তার জন্যই চালু করা হল ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি না হলেও ‘পুকুর’ হয়ে থাকছে রাস্তা! বাজার থেকে মুখ ফেরাচ্ছে ক্রেতা, মাথায় হাত দোকানদারের
advertisement
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্রন্থাগার শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য নয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষকরাও বই নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রত্যেকের জন্যই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সকলেই গ্রন্থাগারের বই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরেও যদি কেউ বই নিজের কাছে রেখে দেন তবে তাঁদের প্রতিদিন হিসেবে ১ টাকা করে ফাইন ধার্য হয়। আগে এই ফাইন বা জরিমানার অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে জমা করতে হত। তাতে অনেক সময়ই লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের। এখন থেকে আর সেই সমস্যা হবে না। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত গ্রন্থাগারেই ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে এই ফাইন দিতে পারবেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান মৃগাঙ্ক মণ্ডল এই প্রসঙ্গে জানান, দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করার। অবশেষে তা চালু হল। এখন ছাত্র-ছাত্রীরা অনায়াসে যেকোনও ইউপিআই আইডি থেকে ই-পেমেন্ট করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের সকলেই ইউপিআই পেমেন্ট করতে শুরু করেছে। তাই সকলের সুবিধার্থেই পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা হল। এছাড়াও গ্রন্থাগারে আরও রিসোর্স বাড়ানো হচ্ছে। লাইব্রেরি রিসোর্স যারা ব্যবহার করছে তাঁদেরকে আজ পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অনির্বাণ রায়