৪০-৫০ বছর ধরে এই শহরেই বাস ভোলার। শিলিগুড়ির বিভিন্ন বন্ধ শাটার গুলোকেই ভোলা নিজের বাড়ি বানিয়ে নেন। রাস্তার পড়ে থাকা কাগজগুলোকে তুলে নিয়ে তার পর যে কোনও বইয়ের দোকান থেকে একটা কলম সংগ্রহ। তারপরেই ভোলা বসে যায় নিজের মতো করে ছবি আঁকতে শুরু করে দেয় । স্থানীয়রা তাকে “ভোলা পাগলা” বলে চেনে। তবে লোকে পাগল বললেও পাগলের কোনও আচরণ করতে তাঁকে দেখা যায় না বলে স্থানীয়দের বক্তব্য। লোকে যা খাবার দেয় তা খেয়েই তার কেটে যায় দিব্যি।
advertisement
শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার একটি বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরেই নিজের আঁকা ছবিগুলো ভোলা তাঁদের পোস্ট বক্সে পোস্ট করে আসছে। ছবিগুলো দেখলে বিশ্বাস করা যায় না যে একজন ভবঘুরে এমন মাপের ছবি আঁকতে পারে। স্থানীয় চিত্রশিল্পীরাও তাঁর চিত্রকলার যথেষ্ট প্রশংসা করেছে।
শিলিগুড়ি খবর | Siliguri News
আরও পড়ুন : বুধবার উল্টোরথযাত্রা উপলক্ষে সাজো সাজো রব শতাব্দীপ্রাচীন ছোট্ট পিতলের এই রথ ঘিরে
ভোলার ছবি সংগ্রহকারী তথা প্রশংসাকারী ভাস্বতী চক্রবর্তী বলেন, ” দীর্ঘদিন ধরেই ভোলাকে আমরা দেখছি। আমাদের বাড়িতে ভোলা তাঁর আঁকা ছবিগুলো দিয়ে যান। বাড়ির দেওয়ালে যেহেতু বিভিন্ন শিল্প কলার ছাপ রয়েছে সেটা দেখে হয়তো তার পছন্দ হয়েছে। তাই হয়তো আঁকা ছবিগুলি দিয়ে যায়। আমার সযত্নে সেই ছবিগুলি রেখে দিয়েছি।”
আরও পড়ুন : হোম যজ্ঞ, কুমারী পুজোর আয়োজন! অম্বুবাচী মিটতেই খুলে গেল কান্দি দোহালিয়া কালীমন্দির
অন্যদিকে ভোলাকে বহুদিন ধরে ভোলাকে পর্যবেক্ষণ করে দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য বলেন, “আমার ছোটবেলা থেকেই ভোলাকে আমি দেখে আসছি। কোনও দিন কারওর সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি তাকে। বন্ধুত্বের ছলে তাঁকে ডেকে অনেকবার খাইয়েছি। ছবি আঁকতে ভোলার বড্ডই ভাল লাগে। যে কোনও দোকান থেকে একটি রিফিল সংগ্রহ করে ছবি আঁকতে শুরু করে ।”