মোট ৪০ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই কুষ্ঠাশ্রমটি। বহু বছর ধরে তারা কুষ্ঠ রোগীদের সেবা-শুশ্রূষা করে চলেছেন। রোগী অথবা রোগীর পরিবারের থেকে কোনরকম আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই একেবারে নিজে উদ্যোগে এই বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আশ্রমটি চালাচ্ছে। তোদের একটাই লক্ষ্য, জেলায় কোনও কুষ্ঠ রোগী যেন অবহেলিত অবস্থায় না থাকেন।
এই নব কুষ্ঠাশ্রমে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৩৫ জন রোগী থাকেন। তাঁদের খাওয়া দাওয়া, ওষুধ সব কিছুর দায়িত্বভার সামলায় এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই বিষয়ে ওই সংস্থার এক সদস্য জানান, কোনও কুষ্ঠ রোগী যদি এই আশ্রমে থাকতে ইচ্ছুক হয় সেক্ষেত্রে প্রথমে তাঁর পরিবারের লোকজন আশ্রমে এসে কথা বলে যান। এরপর যখন কোনঝ নতুন সদস্য এই আশ্রমে আসেন তখন তিনি বাকি সদস্যদের একদিন আনন্দের সঙ্গে খাবার খাওয়ান। এই আনন্দ উৎসবকে তারা ভাই মিলন হিসাবে পালন করে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্বশুরের হাতে খুন হতে হয়েছিল জামাইকে! সেই দুষ্কৃতী আখড়া এখন পুনর্বাসন কেন্দ্র
আশ্রমে বসবাসকারী আবাসিকরা জানান, এখানে এসে তাঁরা সকলে খুব ভালো আছেন। পরিবারের লোকজন তাদেরকে বঞ্চিত করেছে সমস্ত কিছু থেকে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের যথেষ্ট ভালো দেখভাল করে।
চিকিৎসকদের মতে, কুষ্ঠ রোগ ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু তারপরও কুষ্ঠ রোগীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে থাকে অনেকেই। আর সেই ভ্রান্ত ধারণার জন্যই ক্ষতিগ্রস্ত হন রোগীরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি