এরই পাশাপাশি চার্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ব্যাপটিজিমের নিয়ম অনুযায়ী, তিনি কৃষ্ণদাস নামে একটি বালকের ধর্মপিতার ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে সেই খুদের নাম পরিবর্তন করে করা হয় খ্রীস্টদাস। সেই সময় আবেগ ঘনীভূত হয়ে মাইকেল দু'টি সনেটও রচনা করেন।
আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ! আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কেমন আবহাওয়া? কী প্রভাব রাজ্যে? জানুন পূর্বাভাস
advertisement
প্রথমটি হল 'পুরুলিয়া' ও দ্বিতীয়টি 'কবির ধর্মপুত্র'। যে সময়ে জি.ই.এল চার্চে মাইকেল মধুসূদন দত্ত এসেছিলেন সেই সময় ব্যাপটিজিমের রেজিষ্টারে তাঁর নিজহস্তে স্বাক্ষর রয়েছে। পাশাপাশি মাইকেলের নিজহস্তে রচিত সনেটগুলিও সংরক্ষিত করা হয়েছে জি.ই.এল চার্চের সংরক্ষণশালায়। যা বর্তমানে রাঁচিতে অবস্থিত জি.ই.এল চার্চের হেড অফিসে রয়েছে বলে জানান কবি শ্যামল কিশোর তেওয়ারি।
আরও পড়ুন: পাল্টে গেল বসার আসন, শুভেন্দু অধিকারী কোথায়? রাজ্যপালেই বুঁদ থাকল বিধানসভা
তিনি এও দাবি করেন, পুরুলিয়া-রাঁচি রোডে অবস্থিত জি.ই.এল চার্চের সংরক্ষণশালায় তিনি নিজের চোখে মাইকেলের স্বাক্ষর ও সনেটগুলি দেখে এসেছেন।
পুরুলিয়ার জি.ই.এল চার্চের ঐতিহ্যের মূলে রয়েছে মাইকেলের উপস্থিতি। পুরুলিয়ার সব থেকে পুরনো এই চার্চে প্রতিবছর সাড়ম্বরে পালিত হয় বড়দিন উৎসব। প্রায় দশ হাজার মানুষের সমাগম হয় এইদিন।
করোনা আবহে বিগত দু'বছর বড়দিনের উৎসব পালন হয়নি। এবছর আবারও চেনা ছন্দে ফিরছে জি.ই.এল চার্চ। নাচ, গান, কবিতা, বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হবে এই দিনটি। এমনটাই জানান পুরুলিয়া জি.ই.এল চার্চের সেক্রেটারি প্রেমেন্দ্র আচার্য।
সামনে ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠবে সকলে। সমস্ত চার্চে শুরু হয়ে গিয়েছে তারই প্রস্তুতি। একইভাবে প্রস্তুতি চলছে পুরুলিয়ার জি.ই.এল চার্চে। পুরুলিয়ার এই জি.ই.এল চার্চ আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি