জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার শীর্ষ আধিকারিকদেরকে নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুরে দেখলেন পুলিশ সুপার অমিত কুমার সাউ। পুলিশ সুপার রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকা, গিরিয়া, সেকেন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলাটোলা , ভৈরবটোলা-সহ একাধিক গ্রাম পায়ে হেঁটে এবং মোটরসাইকেল করে ঘুরে দেখেন। এলাকাগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ সুপার একাধিক পরামর্শ পুলিশ কর্মীদের দেন।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিপুর মহকুমার অন্তর্গত রঘুনাথগঞ্জ, সুতি, সামশেরগঞ্জ ব্লকগুলোতে বিস্তীর্ণ এলাকায় পদ্মা নদীর চর রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়। সেই কারণে মুর্শিদাবাদ জেলায় দুই দেশের সীমান্তে বিস্তীর্ণ অংশে এখনও বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করা যায়নি। এর সুযোগ নিয়ে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কাজ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জঙ্গিরা যাতে কোনওভাবেই প্রবেশ করতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে বিএসএফের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকেও টহলদারি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে রাতের অন্ধকারে গ্রামের মধ্যে ঘন ঘন পুলিশের ‘হাই বিম’ টর্চ লাইট জ্বলে উঠছে। এর পাশাপাশি বিএসএফ জওয়ানরাও তীব্র ঠান্ডা এবং কুয়াশাকে উপেক্ষা করে একদম সীমান্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যে চোরাচালানকারীদের যে অবৈধ রুটগুলো ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার আশেপাশে রাতের অন্ধকারে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন, “রঘুনাথগঞ্জ থানার গিরিয়া, সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলোর খুব কাছে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যাতে কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমরা বিএসএফের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে কাজ করছি। এলাকাতে যেকোনও ধরনের অপরাধ রোখার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করা হচ্ছে। গ্রামের কোন কোন জায়গায় নতুন করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দরকার রয়েছে তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।”





