হাসপাতালে নেই যথাযত চিকিৎসকের সংখ্যা। বহু সময় মুমূর্ষ রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের নানান দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। হাসপাতালে বেড ফাঁকা থাকার সত্বেও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে রোগীদের পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসার জন্য। হাসপাতাল থেকে মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি সংস্থানের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে রোগীদের। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে প্রতিনিয়ত বিঘ্নিত হচ্ছে রোগী পরিষেবা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জাতীয় কংগ্রেসের উদ্যোগে শহিদ বিরসা মুন্ডার জন্মদিন পালন
এরই পাশাপাশি বলরামপুর ব্লকের অন্তর্গত মালতি ও নেকড়ে হাসপাতাল তৈরির হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘাটবেড়া গেরুয়া হাসপাতালও বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ফলে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষেরা চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এসবেরই প্রতিবাদে হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি দ্বারস্থ হন পুরুলিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।
আরও পড়ুনঃ তামাক বিক্রির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন
বুধবার পুরুলিয়া জেলার জুবলি ময়দান থেকে একটি মিছিল করে সিএমওএইচ দপ্তরে গিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ১০ দফার দাবি সম্মলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জেলার মুখ্য শাস্ত্র আধিকারিক ড. কুনাল কান্তি দে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। বন্ধ হাসপাতাল গুলি পুনরায় চালু করার কথাও জানিয়েছেন। বলরামপুর এলাকার মানুষেরা কবে সুষ্ঠু ভাবে স্বাস্থ্যপরিসেবা পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Sharmistha Banerjee Bairagi