সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাদের জানান তাদের হাঁটু প্রতিস্থাপন করতে হবে। ব্যয়বহুল এই অস্ত্রোপচারের কথা জানতে পেরে দুজনেই অনেকটা পিছিয়ে আসেন। এরপর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা হয়। এ বিষয়ে তারাপদ মাহাত জানান, দীর্ঘদিন থেকেই হাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে সফলভাবে অস্ত্রোপচার হওয়ায় ও ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ায় খুশি তারাপদ মাহাত। এ বিষয়ে চিকিৎসক শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,'এই প্রথম পুরুলিয়ার হাঁটু প্রতিস্থাপন হল। দুজন রোগীর অপারেশন হয়েছে তারা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। বয়সকালে হাঁটুর সমস্যার জন্য রোগীরা ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। যথাসময়ে চিকিৎসা না করা হলে অবশেষে হাটু প্রতিস্থাপন করতে হয়।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, এমন কাজ করল ছেলে, ধন্য ধন্য করছে সকলে
আরও পড়ুনঃ সামাজিক বাধা, আর্থিক অভাব, সব প্রতিকুলতা পেরিয়ে সাফল্য, এক সামান্য মেয়ের অসামান্য স্বপ্নের কাহিনি
অপরদিকে পুরুলিয়া রোটারি ক্লাব মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান অজিত কুমার সারগি জানান,' স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রথম পুরুলিয়া জেলায় হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হল। গরিব ও অসহায় মানুষদের এর চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে পৌঁছে দিতে পেরে তারাও খুশি।' পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়াতেও সফলভাবে অস্ত্রোপচার হচ্ছে বিভিন্ন জটিল রোগের। আগামী দিনে পুরুলিয়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরও অনেকটাই এগিয়ে আসবে এমনটা আশা করা যাচ্ছে।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি