বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, এমন কাজ করল ছেলে, ধন্য ধন্য করছে সকলে

Last Updated:

প্রায় প্রত্যেকের জীবনেই বাবা-মায়ের বিশেষ অবদান থাকে। তবুও বর্তমান যুগে বেশ কিছু সন্তান এমনও হয় যাদের অত্যাচারের দরুণ বাবা-মায়ের শেষ ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম। প্রায়শই এই ধরনের খবর আমাদের সামনে উঠে আসে। তবে বর্ধমানের শ্রীপল্লী এলাকায় এক ব্যক্তি নিজের বাবা-মায়ের জন্য এমন কাজ করে দেখালেন যার জন্য ধন্য ধন্য করছেন সকলে।

+
বাবা

বাবা মায়ের স্মৃতি উদ্দেশ্যে তৈরী করেছেন মন্দির 

পূর্ব বর্ধমান: প্রায় প্রত্যেকের জীবনেই বাবা-মায়ের বিশেষ অবদান থাকে। তবুও বর্তমান যুগে বেশ কিছু সন্তান এমনও হয় যাদের অত্যাচারের কারণে বাবা-মায়ের শেষ ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম। প্রায়শই এই ধরনের খবর আমাদের সামনে উঠে আসে। যা শুধুমাত্র আমাদের না, সকল মানুষের মনের মধ্যে একটি নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। তবে বর্ধমানের শ্রীপল্লী এলাকায় এক ব্যক্তি নিজের বাবা-মায়ের জন্য এমন কাজ করে দেখালেন যার জন্য ধন্য ধন্য করছেন সকলে।
অনেক মন্দির আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন দেবদেবীর, কিন্তু এবার এই মন্দির দেখলে অবাক হবেন আপনিও। বাবা-মাকে অনেকে দেবতা মানেন। মনে মনে পুজোও করেন। এবার সত্যিই মা-বাবাকে দেবতার আসনে বসাল ছেলে। প্রয়াত বাবা-মায়ের মূর্তি বানিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লীর বাসিন্দা কামিনি কান্তি বিশ্বাস। পেশায় তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। এই মন্দির কামিনি বাবু নিজের বাবা-মার স্মৃতি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
advertisement
একজন মানুষ, যিনি সত্যি সত্যিই নিজের বাবা-মাকে দেবতা রূপে পূজো করেন। বাবা-মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিজেই বাবা মায়ের মূর্তি গড়িয়ে সেই মূর্তি স্থাপন করে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেখানেই তিনি নিত্যদিন তাঁর বাবা মায়ের পুজো করছেন। তিনি তাঁর বাবা-মাকে যে কতটা ভালবাসেন, শ্রদ্ধা, ভক্তি করেন তা আর বলার অপেক্ষায় থাকে না। জানা যায়, কামিনি বাবুর বাবা এবং মা দুজনেই বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় বসবাস করতেন। তবে শেষ দশ বছর কামিনি বাবুর মা ওনার কাছেই থাকতেন। পরবর্তীতে তাঁর বাবা-মা গত হওয়ার পর স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা করেছেন। এবং তাঁর এই অভিনব কাজে সর্বদা তাঁর পাশে থেকে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী।
advertisement
advertisement
মন্দিরের ঠিক মাঝখানে একটি কাচের ঘর বানিয়ে তাঁর বাবা এবং মায়ের মূর্তি রেখেছেন কামিনি কান্তি বিশ্বাস। এমনকি তিনি রোজ সেখানে ধূপ, ফুল, ফুলের মালা, জল, মিষ্টি দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে মা-বাবার পুজো করেন। এছাড়াও মন্দিরের পাশাপাশি তিনি মন্দিরের পাশেই মা-বাবার নামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় খুলেছেন। কামিনী বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির এখন লোকের মুখে মুখে। দেখত ভিড়ও জমাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকেরা।
advertisement
Bonoarilal Chowdhury
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, এমন কাজ করল ছেলে, ধন্য ধন্য করছে সকলে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement