তৎকালীন সময়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, উচ্চশিক্ষা লাভের পরেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। সেই সময় অনেকেই বীণার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। নিজের দেওয়া কথা রেখেছেন তিনি। স্নাতকোত্তর পাশ করার পরেই সংসার জীবনে পা দিয়েছেন বীণা। এক সন্তানের মা।
আরও পড়ুন: ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি মাংস, ১৫০ কুকুরের জন্য কত আয়োজন, দম্পতির কাণ্ড চমকে দেবে!
advertisement
আরও পড়ুন: কুয়াশায় আস্ত জাহাজ ধাক্কা মারল নদীর পাড়ে, ভোর রাতে ঘুম ভেঙে কী দেখল কুলপি!
তবে বর্তমানে চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন কাটছে তাঁর। এত খ্যাতি পাওয়ার পরেও কোনও স্থায়ী চাকরি জোটেনি বীণার। তাঁর স্বামী ঝাড়খণ্ডের একটি হোটেলে কর্মরত। সামান্য আয়ে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। প্রশাসনের কাছে স্থায়ী চাকরি ও পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বীণা। সন্তান মানুষ করার পাশাপাশি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চান তিনি।
শুধু বীণাই নন, তাঁর প্রতিবেশীও চান প্রশাসন বীণার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক। আগামী দিনে বীণা অনেক মেয়ের জীবনাদর্শ হয়ে উঠবেন বলে আশা।
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত জেলা পুরুলিয়া। বর্তমানে ধীরে ধীরে শিক্ষার আলোয় সমৃদ্ধ হচ্ছে জেলার সমস্ত গ্রাম। পুরুলিয়ার এই গ্রামগুলির মধ্যেই অন্যতম বাগমুণ্ডির সেরেন্ডি অঞ্চলের ভূরশু গ্রাম। বীণা কালিন্দী সেই গ্রামের রোল মডেল। আগামী দিনে পুরুলিয়া-সহ রাজ্যের মানুষের কাছে বীণার নাম ও কাহিনি ছড়িয়ে পড়ুক, এমনটাই চাইছেন তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি