বর্ষাকালে অতিবৃষ্টিতে জল জমে রাস্তাঘাট সহ লোকালয়ে। ফলে সমস্যায় পড়ে সুতাহাটা ব্লক এলাকার মানুষজন। সাধারণ মানুষের দাবি ছিল জল নিকাশির জন্য নিকাশি নালা করা হলে প্রতিবছর জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন সুতাহাটা ব্লকের বাসিন্দারা। সেইমতো হলদিয়া মেছেদা রাজ্য সড়কের পাশে নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে কংক্রিটের হাইড্রেন। হাইড্রেন নির্মাণের মেশিনের সাহায্যে খোলা হচ্ছে নালা। নালা কাটা ও নালা কেটে মাটি সরিয়ে রাখতে গিয়ে অনেক গাছের প্রাণ ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বৃক্ষপ্রেমী যুবক অরুণ মাইতি। তিনি এ নিয়ে প্রতিবাদও জানান। এমনকি তিনি গাছগুলোকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারপরও মাটি কাটা মেশিনের চালক কর্নপাত না করায়, ওই যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিন্দা জানান এবং বালুঘাটা বন দফতরে খবর দেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সুতাহাটাতে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ এলাকাবাসীর! কী কারণ?
এই ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাটা বন দফতরের আধিকারিকরা এসে ঠিকাদার সংস্থা এবং মাটি কাটার মেশিনের চালককে গাছের ক্ষতি করে কাজ করতে বাধা দেন এবং পরবর্তীকালে যাতে এভাবে গাছ না নষ্ট করা হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন। যদিও ওই এলাকায় এর আগে নারকেল গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা প্রতিবাদ করলেও প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- টোটো যন্ত্রণা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে বড় পদক্ষেপ! জানুন কী করছে পৌরসভা..
স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্যের কথায়, 'আমরা কেউই উন্নয়নের বিরোধী না, কিন্তু সবুজ বাঁচিয়ে উন্নয়নের কাজ হোক।' গাছ কাটার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুতাহাটার বিডিও আসিফ আনসারি বলেন, 'কোন গাছ কাটা হয়নি। কাজের সুবিধার্থে দু'একটি গাছ স্থানান্তরিত করা হয়েছে।'
Saikat Shee






