বুধবার উত্তাল সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই স্নান করতে নামেন পর্যটকরা। স্নানে নেমেই বিপদের মুখে পড়েন বছর ১৯-এর দুই কলেজ পড়ুয়া। উত্তাল সমুদ্রে পড়ে তলিয়ে যায় দু’জনেই। তবে নুলিয়াদের তৎপরতায় একজনকে উদ্ধার করা হলেও, অপর পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। তারপর থেকেই ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা, প্রতিটি স্নানের ঘাটেই নুলিয়ারা তৎপর। সমুদ্র উত্তাল থাকার সময় পর্যটকদের সমুদ্রস্থানে বাধা দিচ্ছেন। বাধা পেয়ে অবশ্য বেশ কিছু পর্যটক ক্ষোভ উগরেও দিচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কনফার্ম টিকিট আচমকা চলে গেল ওয়েটিং লিস্টে! আশ্চর্য কাণ্ড পুরুলিয়ায়! উঠছে প্রশ্ন
সব ঋতুতেই দিঘা পর্যটকদের কাছে সমান জনপ্রিয়। বিশেষ করে বর্ষার সময় দিঘায় তীব্র জলোচ্ছ্বাস পর্যটকদের আরও বেশি করে আকৃষ্ট করে। বর্ষার সময় সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই দিঘা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ফলে বর্ষাকালে ওর দিকে থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত বিভিন্ন স্নানের ঘাটে নুলিয়াদের তৎপরতা বাড়ে। পুলিশ প্রশাসন বাড়তি নজর দেয় স্নানের ঘাটগুলিতে। চলতি সপ্তাহে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় আরো বেশি সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন চলছে মাইকিং।
কিছু পর্যটক উত্তাল সমুদ্রে স্নান করতে বাধা পেয়ে সৈকত সরণিতে দাঁড়িয়েই উপভোগ করছে সমুদ্রের এই সর্বগ্রাসী সৌন্দর্য। কিন্তু প্রশাসনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সত্বেও বহু পর্যটকেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই উত্তাল সমুদ্রে নেমে পড়ছে স্নানের জন্য। সমুদ্র সৈকত থেকে নুলিয়ারা বারে বারে পর্যটকদের সতর্ক করে তুলে দিচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও পর্যটকেরা এই উত্তাল সমুদ্র নামতে উন্মাদ। সমুদ্রের এই ভয়ঙ্কর রূপ পর্যটকদের মাতাল করে তুলছে। আর তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নুলিয়াদের।
Saikat Shee