এই বাড়তি আয়ে খুশি গোলাপ চাষিরা। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে বরাবরই গোলাপের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এই বছর সেই চাহিদা যেন তুঙ্গে পৌঁছেছে। স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে ফুলের। তাতে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, গোলাপ চাষিরাও ভালোমত লাভবান হয়েছেন। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি আগে বাগান থেকে চাষিরা গোলাপ বিক্রি করছেন প্রায় দ্বিগুণ দামে।
advertisement
আরও পড়ুন: হকারের মেয়ে মালদহের নাম উজ্জ্বল করল দেশের ক্রীড়া জগতে
১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে গোলাপ ফুল উপহার দেন। বেশ কয়েক বছর হল এই পশ্চিমী রীতি বাংলাতেও চালু হয়েছে। আর তাতেই বাজারে গোলাপ ফুলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এই সময়টাকে স্বাভাবিকভাবেই গোলাপ চাষিরাও লক্ষ্য করে ফুল উৎপাদন করতে থাকেন। কিন্তু গত দু'বছর করোনার কারণে সেই আশা নিরাশায় বদলে গিয়েছিল। তবে ২০২৩ এর ভ্যালেন্টাইন্স ডে তাঁদের আশা পূরণ করল। শুধু আশা পূরণই নয়, গত দু বছরের ক্ষতিও অনেকটাই সামলে নেয়া গেল বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘি, মাইশোরা, পারলঙ্কা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিঘার পর বিঘা নানান প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়। তবে মিনিপল প্রজাতির গোলাপ বেশি প্রচলিত। তাছাড়া গোল্ডেন, ইতালি সহ বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল চাষ করে থাকেন চাষিরা। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই ভ্যালেন্টাইন্স উইকে অতিরিক্ত দাম পায় গোলাপ চাষিরা। সারাবছর গোলাপ ২ থেকে ৩ টাকা পিস বিক্রি করলেও ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র সময় ৭ থেকে ৮ টাকা পিস দরে গোলাপ বিক্রি করেন চাষিরা। এই বছর দাম আরও খানিকটা বেড়েছে। পাঁশকুড়ার এই গোলাপ শুধু বাংলার বাজারে নয়, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, পুনে, হায়দ্রাবাদেও রফতানি হয়।
সৈকত শী