আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের ক্ষত এখনও দগদগে, মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও উচ্চ মাধ্যমিকে সফল পরীক্ষার্থীরা
কর্মসূচি শুরু হয় তমলুক মানিকতলা থেকে। বানভাসি ও জলবন্দী এলাকার মানুষজন একটি মিছিল করে জেলা সেচ দফতরে যায়। এ দিনের ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন অশোক তরু প্রধান, নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, মধুসূদন বেরা, উৎপল প্রধান, জগদীশ সাউ প্রমুখ। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সূর্যেন্দু বিকাশ পাত্র, অশোক মাইতি। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানান, আসন্ন বর্ষায় বন্যা প্রতিরোধ ও জল নিকাশী ব্যবস্থার উন্নতিতে সমস্ত নিকাশী খালের ভেতরে পড়ে থাকা কচুরিপানা-বনসৃজনের পাড়ে থাকা গাছ সহ জঞ্জাল অবিলম্বে পরিস্কার ও সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত স্লুইসগেট অতি সত্ত্বর মেরামত বা পরিবর্তন এবং বর্ষার পরে পরেই যাতে নিকাশি খালগুলি সংস্কারে হাত দেওয়া হয় সেই দাবিগুলি নিয়ে সেচ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ১৩ টি শাখা কমিটির পক্ষ থেকে মহিলা সহ পাঁচশোর বেশি মানুষ ওই কর্মসূচিতে সামিল হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: অন্নপ্রাশনে অভিনব উপহার, নাতনিকে মঙ্গলগ্রহের জমি কিনে দিলেন ঠাকুমা, কত দাম পড়ল?
গত বর্ষায় জেলার ২৫টি ব্লকই কম-বেশী বন্যা ও জলবন্দী হয়ে চরম দূর্দশার সম্মুখীন হয়েছিল। সেই সময় জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, বর্ষার পর পরই নিকাশী খালগুলি সংস্কার এবং জেলা জুড়ে বিভিন্ন নদ নদীর অববাহিকার ভেতরে থাকা বেআইনী মাছের ভেড়ি-ইটভাটা ও অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদ করা হবে। সেইমত জেলার চার মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট মহকুমা ভিত্তিক কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু তারপর এক বছর চলে গেলেও প্রশাসনের দেওয়া উক্ত প্রতিশ্রুতিগুলি কার্যকর হয়নি অভিযোগ তোলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা। তাদের আরও দাবি জেলা জুড়ে নিকাশী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, জেলার প্রায় সব ব্লকের বাসিন্দারা চলতি বর্ষার প্রাক্কালে জলবন্দী হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে।
Saikat Shee