শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে নন্দকুমারের গোদার গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ওই গ্রামের বরফ কারখানার অ্যাসবেস্টের ছাদ উড়ে যায়। কারখানার বেশ কিছু জিনিস বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় ৬০০ মিটার দূরে উড়ে গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কারখানার মালিক চন্দন বর্মনের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে তাঁর বয়স প্রায় ৩৫ বছর। বাড়িতে স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান আছে। এছাড়াও আরও দু'জন গুরুতর জখম হয়েছেন।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৬-৭ বছর আগে গোদার গ্রামের বাস রাস্তার পাশে বরফ কারখানাটি তৈরি করেছিলেন চন্দন বর্মন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। বরফ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লিকুইড অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বার ঠিকঠাক কাজ করছিল না বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সেই গ্যাস চেম্বার সারাইয়ের জন্য মিস্ত্রি নিয়ে কারখানায় আসেন চন্দনবাবু। গ্যাস চেম্বার সারাইয়ের সময়ই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা চন্দন বর্মনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। লিকুইড অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বার মেরামতির কাজ করা মিস্ত্রি এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও ওই সময় কারখানার ভেতরে থাকা এক বৃদ্ধও আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আস্ত কলা বাগান কি হনুমান খেয়েছে? ১০০ দিনের বোর্ড আছে, কিন্তু গাছ গেল কই! ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ
বরফ কারখানার এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ ও আহতদের তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সমস্ত নিয়ম মেনে কারখানাটি চলছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সৈকত শী