Malda News: আস্ত কলা বাগান কি হনুমান খেয়েছে? ১০০ দিনের বোর্ড আছে, কিন্তু গাছ গেল কই! ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ
- Published by:Kaustav Bhowmick
- news18 bangla
Last Updated:
১০০ দিনের প্রকল্পের টাকায় কলা বাগান তৈরি হওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ হয়েছে বলে বোর্ডও বসেছে। কিন্তু গাছ নেই! এ কত বড় দুর্নীতি মালদহে?
মালদহ: আস্ত বাগানটা গেল কোথায়? কলার পাশাপাশি গাছগুলোও খেয়ে নিয়েছে হনুমান? হনুমানই বটে! তবে এ হনুমানের লেজ নেই, এ দু-পায়ে হাঁটে। এমনই 'হনুমানের' কাণ্ড ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদহের কোতুয়ালি পঞ্চায়েতের গনিপুর গ্রামে।
১০০ দিনের কাজের টাকায় কলাবাগান তৈরি হওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ হয়েছে বলে রিপোর্ট গিয়েছিল উপরমহলে। কিন্তু আদৌ কাজ হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এবার যাদের জমিতে কলাবাগান তৈরির কথা ছিল তারাই অভিযোগ করছে, বাগানে কলাগাছের বদলে কাজ হয়ে যাওয়ার ফলক বসে গিয়েছে। তাই কলা নেই!
১০০ দিনের কাজে বাংলায় দুর্নীতি বা 'পুকুর চুরি'র অভিযোগ নতুন নয়। আক্ষরিক অর্থেই ১০০ দিনের কাজে পুকুর চুরি হয়েছে এই রাজ্যে। প্রকল্পের টাকায় পুকুর কাটার কথা ছিল। কিন্তু পুকুর না কেটেই কাজ হয়েছে বলে ফলক বসে গেছে। এদিকে সেই টাকা নাকি পঞ্চায়েতের কর্তারা আত্মসাৎ করে দিয়েছেন! এমন ঘটনা মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলায় বেশ কিছু ঘটেছে। তবে কলা বাগানের নাম করে টাকা আত্মসাতের এই অভিযোগ বেশ অভিনব! এক্ষেত্র ে কাজ না করেই ফলক বসানোর অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
advertisement
advertisement
ইংরেজবাজার ব্লকের কোতুয়ালি পঞ্চায়েতের গনিপুর গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, একশো দিনের কাজের টাকায় কলা বাগান তৈরির কথা ছিল। এই কাজের জন্য এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নির্বাচিত করা হয়। সেই মত তাঁদের জমির দলিল সহ অন্যান্য নথি জমা নেওয়া হয়। অভিযোগ, তারপরেও বেশিরভাগ জমিতে কলাগাছ লাগানো হয়নি। গুটি কয়েকজনের জমিতে অল্প কিছু গাছ লাগানো হয়েছিল। তারপরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওই মহিলাদের জমিতে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কাজ হওয়ার ফলক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। কারওর জমিতে ১ লক্ষ, কারওর বা ২ লক্ষা টাকার কলাগাছ লাগানো হয়েছে এমনই ফলক লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত।
advertisement
কোতুয়ালি পঞ্চায়েত প্রায় শতাধিক মহিলার জমিতে কলাগাছ লাগানোর এমন ফলক বা প্রকল্প বোর্ড লাগিয়েছে বলে অভিযোগ। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা জানাজানি হতে বিরোধীদের অভিযোগ, এইভাবে মিথ্যে বোর্ড লাগিয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরূপ করেছে পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে শুরু করে প্রধান। বিরোধীরা এটিকে সংগঠিত অপরাধ বলে দাবি করেছে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন তাঁরা এই দুর্নীতির কথা বিডিও, জেলাশাসককে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। যদিও গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে এক পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, নিয়ম মাফিক সব কাজ হয়েছে। বদনাম করার জন্যই বিরোধীরা এসব মিথ্যে অভিযোগ আনছে। পাল্টা বিরোধীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
advertisement
হরষিত সিংহ
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 13, 2023 7:28 PM IST