নভেম্বর শেষে বা ডিসেম্বরের শুরু থেকে শীত প্রধান দেশগুলি থেকে বিভিন্ন প্রকার পরিযায়ী পাখিরা পাড়ি জমায় প্রধান দেশ গুলিতে। শীত পড়তে পড়তে তাদের আসার পালা শুরু করে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু জায়গায় শেষ কয়েক বছর ধরেই পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে শীতের সময়। দিঘার পাশেই বিভিন্ন জলাশয় এর শীতের সময় পরিযায়ী পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়। দিঘা মেরিন ড্রাইভের পাশে পরিযায়ী পাখি দেখার অপেক্ষায় পর্যটক। সেজে উঠেছে পাখি দেখার উদ্যান।
advertisement
পরিযায়ীরা যাতে নিরিবিলিতে নিরাপত্তায় সময় কাটাতে পারে সে জন্য বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই লেক এর জলের ওপর কটেজ তৈরি ছাড়াও পাখি দেখার পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরিযায়ী পাখিরা যাতে নিরাপদভাবে আনাগোনা করতে পারে তার জন্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত সমানে নজরদারি চালান হবে। পর্যটকরা নিশ্চিন্তে পাখি দেখতে পারেন তার জন্য নো হর্ন জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ড লাগানো হয়েছে, পর্যটকদের বসার জন্য সিট ব্রেঞ্চ ব্যাবস্থা করাও হয়েছে। একদিকে একান্তে নিরিবিলিতে সময় কাটান ও শীতের রোদ গায়ে মেখে পরিযায়ী পাখি দর্শন।
আরও পড়ুন: সাবধান দিঘা গিয়ে ‘এই’ পুলিশের পাল্লায় পড়েননি তো, ফিল্মি কায়দায় যা যা হল
আরও পড়ুন: রং-বেরঙের দামি আলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা, দীপাবলিতে শেষমেশ টেক্কা মাটির প্রদীপের!
জেলা বন বিভাগের আধিকারিক অনুপম খান জানান, পর্যটকদের কথা ভেবে পরিযায়ী পাখি দেখার ব্যবস্থা ও তাদের পরিচয় ঘটনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এলাকার বেশ কয়েকটি খালের জল তুলে নেওয়ায় পরিযায়ী পাখি আসছে না। পাশের ঝিল ও জঙ্গলে কিছু কিছু আসতে শুরু করেছে। বনদফতর পর্যটকদের পরিযায়ী পাখি দেখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি জানান তবে পর্যটকদের পাখি দেখার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে। এবার দিঘায় এসে এবার শুধু সমুদ্র নয় এর পাশাপাশি পরিযায়ী পাখি দেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারবে পর্যটকেরা।
সৈকত শী





