দূরত্ব:
কলকাতা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার। মেছেদা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৪১ কিলোমিটার। হলদিয়া থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুক থেকে দূরত্ব মাত্র ২৮ কিলোমিটার
কীভাবে আসবেন:
হাওড়া-হলদিয়া লোকালে চেপে সতীশ সামন্ত রেল স্টেশনে নেমে টোটো, অটো বা বাসে করে যাওয়া যায় গেঁওখালিতে। আবার মেছেদা থেকে হলদিয়াগামী ভায়া তমলুক বাসে চেপে মহিষাদল সিনেমা মোড় বাস স্টপেজে নেমে গেঁওখালি যাওয়া যায়। গেঁওখালির রুটে বাস চলাচল করে। গেঁওখালি থেকে হাওড়া জেলার গাদিয়াড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর জলপথে ফেরি সার্ভিস রয়েছে প্রতিদিন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুল ইউনিফর্ম পরিবর্তন নিয়ে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দিন দিন
থাকার জায়গা:
গেঁওখালিতে বর্তমানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের গেস্ট হাউস রয়েছে। গেস্ট হাউসের নাম ত্রিবেণী সঙ্গম। গেস্ট হাউসের দুটি তলে বেশ কয়েকটি এসি যুক্ত সুন্দর ঘর রয়েছে। যেগুলির ভাড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা প্রতিদিন। এছাড়াও সেচ দফতরের বাংলো রয়েছে। তবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ত্রিবেণী সঙ্গম গেস্ট হাউস সবচেয়ে ভালো। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে এই গেস্ট হাউসের রুম বুক করা যায়।
খাওয়া-দাওয়া:
গেস্ট হাউসের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে তবে খাওয়া-দাওয়ার আলাদা দাম। এছাড়া চাইলে আপনি বাইরে খেতে পারেন।
কী কী দেখবেন:
গেঁওখালির নির্মল প্রকৃতিতে মন প্রাণ জুড়িয়ে নেওয়ার পর। গেঁওখালির কাছেই রয়েছে পর্তুগীজ পাড়া। এবং তাদের প্রাচীণ চার্চ। ওখান থেকে পড়ুন ইতিহাস সমৃদ্ধ মহিষাদলের উদ্দেশ্যে। মহিষাদল রাজবাড়ি, রাজবাড়ি সংলগ্ন আম্রকুঞ্জ, জাপানি পদ্ধতিতে মিওয়াকি ফরেস্ট, গোপাল জিউর মন্দির। কিছুটা দূরে গান্ধীজির পদধূলি ধন্য গান্ধী কুটির। মহিষাদলের রথতলা।
আরও পড়ুনঃ চোখের জল বাগ মানছে না! তবুও হাসি মুখে স্যারকে বিদায় জানাল পড়ুয়ারা
এছাড়া কাছে পিঠে গোপালপুরে রয়েছে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রথম সর্বাধিনায়ক সতীশ সামন্তের জন্মস্থান ও বসতবাড়ি। পুজোর লম্বা ছুটিতে খোলামেলা নির্মল প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি পরিবেশে মন প্রাণ জুড়িয়ে নিতে চলে আসুন গেঁওখালি। নদীতে ঢেউ এর আনাগোনার সঙ্গে মালবাহী ছোট ছোট জাহাজের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে বেলা ফুরিয়ে সন্ধে নেমে আসবে নদীর বুকে।
Saikat Shee