এবার পূর্ব মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের হানা সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ভুয়ো কল সেন্টারে। ভুয়ো কল সেন্টারটি বি ই ৩৪ Rose berry port folio sollutions pvt ltd নামে চলছিল। এই কল সেন্টারটির মালিক রনিক পাল। গত ৫ সেপ্টেম্বর সমিরন গুছাইত নামে এক ব্যক্তি নন্দকুমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, মোটা টাকার বিনিময় তার বাড়িতে টাওয়ার বসানো হবে এই লোভ দেখিয়ে মোটা টাকা আত্মসাৎ করেছে এই কোম্পানি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লাভজনক মাছ চাষের মাধ্যমে নন্দীগ্রামে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য
বর্তমান সময়ে বদলে যাচ্ছে অপরাধীদের অপরাধ করার মাধ্যম। প্রতিটি জেলায় বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা। কোথাও কোন কলের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। কোথাও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ পরিচালিত থেকে ঘনিষ্ঠতা তারপর টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ অভিযোগ। মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। এবার এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল নন্দকুমার থানার বহিচবেড়িয়া গ্রামের সমীরণ গুচ্ছাইতের সঙ্গে।
প্রতারিত হওয়া সমীরণ গুচ্ছাইতের করা মামলার কিনারা করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাইবার ক্রাইম থানা। মামলা রুজু হবার পর তদন্তে নামে পূর্ব মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ১২ অক্টোবর দুপুর থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যার মধ্যে ৫ জন মহিলা বাকি সব পুরুষ।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে বেপরোয়া গতির বলি শিশু! রাস্তায় অবরোধ বিক্ষোভ
পুলিশের অনুমান বেশ কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে এই কোম্পানি মাধ্যম দিয়ে। তল্লাশি চালিয়ে হার্ডডিক্স ল্যাপটপ ৫০ টি ল্যান্ড ফোন, ৫০ টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে। এই কোম্পানির মূল মাথা রনিক পাল পলাতক, তাকে খুঁজছে পুলিশ। ধৃতদের এদিন তমলুক আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের বিচারক ১১ জনের জেল হেফাজত নির্দেশ ও চারজনের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Saikat Shee